পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যেই যমুনার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার জানান, কয়েকদিন ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় ভারী বর্ষণে যমুনা নদীর পানি ফের বাড়ছে। এতে যমুনা নদীর তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম এখন পানিতে ভাসছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানি ১৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময় কাজিপুরে পানি ২৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, চৌহালী ও কাজিপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে। চরাঞ্চলসহ অনেক নিচু বাড়িঘর পানিতে নিমজ্জিত ও বিভিন্ন ফসলের মাট ডুবে গেছে। এতে বিশেষ করে চরাঞ্চল এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বাড়ছে। বন্যা কবলিত অনেক পরিবার এখন মানববেতর জীবনযাপন করছে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী অনেক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবং শাহজাদপুর ও চৌহালীর ভাঙন এখনও থামছে না। অবশ্য ভাঙন রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কাজ করছে।
এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান জানান, বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে।