ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিকল্প হিসেবে ইতোমধ্যেই প্রার্থী বাছাই শুরু করেছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি। অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর বুধবার প্রাথমিকভাবে আট প্রার্থীকে নির্বাচন করেছে দলটি। দলের সদস্যরাই ভোট দিয়ে তাঁদের মনোনীত করেছেন।
প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে দলটি জানায়, কমপক্ষে ৩০টি ভোট পেতে ব্যর্থদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে বাদ দেওয়া হবে। এভাবে শেষ দু’জন প্রার্থী টিকে যাওয়া পর্যন্ত এমনটি চলবে।নির্বাচন তপশিলের অধীনে জনসনের উত্তরসূরির নাম ৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। এবার প্রার্থী বাছাইয়ে আগের চেয়েও সতর্ক থাকতে চায় দলটি। তাই সময় নিয়ে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। কারণ দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, নেতাদের বিরতিহীন কেলেঙ্কারির কারণে পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। হারানো জনপ্রিয়তা উদ্ধারে যোগ্য নেতা বাছাইয়ের বিকল্প নেই।
এর আগে হাউস অব কমন্সের শেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, ‘আমি শিগগিরই মাথা উঁচু করে চলে যাব (ক্ষমতা ছাড়ব)।’ মাত্র এক সপ্তাহ আগে তাঁর মন্ত্রিসভা তাসের ঘরের মতো ভেঙে যাওয়ার পর এ কথা বললেন বরিস। এ সময় ভাষণে তিনি তাঁর সরকারের অর্থনৈতিক সাফল্যের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, আমার সান্ত্বনা হলো, আমি এমন এক সময়ে পদ ছেড়ে যাচ্ছি, যখন ব্রিটেনে চাকরির সুযোগ সর্বোচ্চ। নতুন নেতা বাছাইয়ের জন্য জনসন পরামর্শ দিয়েছিলেন, যদি শেষ দুই প্রার্থী একটি চুক্তিতে সম্মত হন, তাহলে দলীয় নেতাদের সুপারিশে নেতা বাছাই করা যেতে পারে। এমনটি হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে নেতৃস্থানীয় প্রতিযোগীরা ইতোমধ্যেই এই পরামর্শ বাতিল করে দিয়েছেন।
তবে জনসনের প্রেস সেক্রেটারি সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি (জনসন) এখনও আশা ছাড়েননি। প্রতিযোগিতায় যে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এদিকে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জনসন সবার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।