বিশ্বে প্রতিদিন নানারকম ঘটনা ঘটে। তেমনি আজকের এই দিনে, ২৯ আগস্ট ঐতিহাসিক এক ঘটনা ঘটে।
লা টমাটিনা ইউরোপের দেশ স্পেনের একটি জনপ্রিয় উৎসব। এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা একে অপরের দিকে টমেটো ছুড়ে মারেন। প্রতিবছর এই উৎসবে অংশ নিতে হাজার হাজার দেশি-বিদেশি পর্যটক স্পেনের বুনোল শহরে জড়ো হন। মেতে ওঠেন টমেটো ছোড়ার উৎসবে।
এতে বলা হয়, এখন এই উৎসবকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টমেটো বা খাবারের লড়াই বলা হয়ে থাকে। ১৯৪৫ সালের ২৯ আগস্ট লা টমাটিনার প্রথম আসর বসেছিল। সেই থেকে নিয়মিত এই উৎসব হচ্ছে স্পেনে। যা এখন জাতীয় উৎসবে রূপ নেয়।
জানা গেছে,স্পেনের বুঁয়্যোল শহরে মহাসমারোহে উদযাপিত হয় টমেটো উৎসব। উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা একজন অন্যজনের দিকে আনন্দ করে টমেটো নিক্ষেপ করেন। টমেটোপ্রেমী স্প্যানিশদের অন্যতম প্রাণের উৎসব ‘লা টমাটিনা’।
প্রতি বছর আগস্ট মাসের শেষ বুধবার স্পেনের বুঁয়্যোল শহরে উদযাপিত হয়। দুই ঘণ্টার উৎসবে জড়ো হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার মানুষ। উৎসব শুরুর কয়েক মিনিটের মাঝেই অংশগ্রহণকারীরা আপাদমস্তক লাল রং ধারণ করেন।
বুঁয়্যোলের রাস্তায় শুরু হয় টমেটো সসের বন্যা। শহরটি ছোট ও মানুষদের জায়গা সংকুলন সম্ভব না হওয়ায় এতে যোগ দিতে ৪ মাস আগে থেকে আবেদন করতে হয়।
অঞ্চলটিতে প্রচুর পরিমাণে টমেটো উৎপাদন হলেও উপযুক্ত ব্যবহারের অভাবে তা নষ্ট হয়ে যেত। ফলে কিছু লোক পরিকল্পনা করে শহরের সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব সেইন্ট লুইস বার্ট্রান্ট এবং মা মেরিকে উৎসর্গ করে টমেটো ছোড়া উৎসবের সূচনা করেন। কালের বিবর্তনে তা রূপ নেয় মহোৎসবে।
অধিকাংশ অংশগ্রহণকারীরা টমেটো ছুড়তে নামেন খালি গায়ে। প্রায় ১০০ টনের মতো টমেটোর রস ছিটিয়ে সবাই মেতে উঠে আনন্দ উৎসবে । তবে নিরাপত্তার জন্য কেউ কেউ চোখে গ্লাস এবং হাতে গ্লাভস পরে নেন।
এভাবে তুমুল আনন্দ আর উত্তেজনার মধ্য দিয়ে টমেটো যুদ্ধ চলে ঘণ্টাব্যাপী। যে কেউ যে কারো গায়ে টমেটো ছুড়ে মারতে পারে। উৎসবের পর টমেটোগুলো পরিষ্কারের কাজটাও উৎসবে অংশগ্রহণকারীরাই স্বাচ্ছন্দ্যে করে থাকেন।।