করোনাভাইরাস সংক্রমণের নতুন ঢেউ দ্রুতবেগে ছড়িয়ে পড়েছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়া মহাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশে। বিশেষ করে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীনে কভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উলে্লখযোগ্য হারে।
কভিড এখনো বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা হয়ে থেকে গেছে, গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমন বক্তব্যের মধ্যেই এই অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
রোগীর সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বিএ.ফোর/ফাইভ প্রধানত দায়ী বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে বাসিন্দাদের আহ্বান জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও জাপান।
৫১ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রায় ৬৯ হাজার মানুষ এখন এই ভাইরাসে আক্রান্ত। নিউজিল্যান্ড সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটিকে কভিডের পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণও মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে লাখ লাখ নতুন সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তবে সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কোনো কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে না দেশটিতে।
জাপানে সম্প্রতি চলতি বছরে সর্বোচ্চ কভিড রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ছিল ৯৫ হাজার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে দেশটিতে দৈনিক নতুন রোগীর সংখ্যা দুই লাখে পঁেৌছে যাবে। কভিড প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার সদ্ধিান্ত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াও।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় কভিড রোগী বেড়ে মার্চের পর সর্বোচ্চ হয়েছে। চীনেও দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফিলিপাইনে নতুন সংক্রমণ এখনো কম হলেও চলতি মাসের শেষে এ সংখ্যা ২০ গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে দেশটির সরকার।