এখন পরিষ্কার হয়ে গেল। জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পাওয়া ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন আসলে নিজের মেধার পরিচয় দিতে পারছেন না। এত বড় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছেন না এই ফুটবলার। গতকাল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে আবারও সেই একই ভুল করেছেন মোরসালিন। এবার আফগানিস্তানের গোলরক্ষক ফয়সাল আহমাদ হামিদিকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি মোরসালিন।
গোলপোস্টের সামনে বল পেলে কীভাবে গোল আদায় করতে হয় তা জানা নেই এই স্ট্রাইকারের। ৫৫ মিনিটে এই গোলটা হয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারত। আফসোসের শেষ থাকল না। দুঃখটা বেড়ে গেল অনেকেরই। যারা সাফে সেমিফাইনালে কুয়েতের বিপক্ষে ম্যাচটা দেখেছিলেন। কুয়েতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল শুরু হওয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই মোরসালিন সুযোগ পেয়েছিলেন। রাকিবের ক্রস থেকে বল পেয়েছিলেন মোরসালিন। শট করতে পারেননি। সেই গোলটা হয়ে গেলে হয়তো সাফের ফাইনালে উঠার দুয়ার খুলত।
কিন্তু ১৮ বছরের ছেলে বুদ্ধি খাটিয়ে কাজটা করতে পারেননি। সেই আফসোসে পুড়তে হয় এখনো। তিন দিন আগে অনুশীলন মাঠে সাফের সেই ভুল নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বুঝিয়ে ছিলেন মোরসালিনকে। কী করলে গোল হতে পারত। মোরসালিন মাথা নিচু করে কথা শুনেছিলেন সুবোধ বালকের মতো। কিন্তু মাঠে কাজটা করতে পারলেন না। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে আবার সেই রাকিবের ক্রসের বল পেয়েও সুযোগ হাতছাড়া করলেন। সেটাও দেখলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। আফসোস করলেন। ৮০ মিনিটে মোরসালিনকে মাঠ থেকে তুলে নিলেন কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা।