মূল্যস্ফীতি বাড়ায় আগে দেশের মানুষের যে পরিমাণ সঞ্চয় ও ভোগপ্রবণতা ছিল তা কমেছে। গত মঙ্গলবার ‘পে স্কেল রিফর্ম অ্যান্ড ডাইনামিকস অব ইনফ্লোশোনারি স্পাইরার্স ইন বাংলাদেশ: এ রিগ্রেশন-ডিসকনটিনিউটি অ্যাপ্রোচ টু দ্য লং-রান কনসিকোয়েন্স অব এনপিএস- ২০১৫’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা গবেষণালব্ধ এ তথ্য তুলে ধরেন। তারা বলেন, কমপেনসেশন ম্যানেজমেন্টে উদ্ভাবনী কৌশল গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের সঞ্চয়প্রবণতা অধিকহারে বৃদ্ধি করা সম্ভব।
বিআইসিএম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন সিদ্দিকী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. নাহিদ হোসেন ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো ড. বদরুন নেসা আহমেদ। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিআইসিএমের প্রভাষক এস এম কালবীন ছালিমা।
অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, এই মেথডলজিটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন একটি দিক উন্মোচন করেছে। সমসাময়িক গবেষকদের বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি গবেষণায় উৎসাহিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন সিদ্দিকী বলেন, বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের পর তার প্রভাব সমাজের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত তিনটি গ্রুপের ওপর আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলবে। এক্ষেত্রে, আয়ের বিভাজন অনুযায়ী মূলস্ফীতির প্রভাব কীভাবে নির্ধারিত হবে সে বিষয়ে গবেষণার ওপর জোর দেন তিনি। ড. বদরুন নেসা আহমেদ বলেন, গবেষণাটি যেহেতু বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত সেহেতু গবেষণার আলোকে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে সামাজিক-রাজনৈতিক সংবেদনশীলতার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।