ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।
ট্রাভেল পাসের শর্ত অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) তিন মাসের মেয়াদ শেষ হলেও ভারত সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে তিনি দূরে কোথাও যেতেও পারবেন না। সালাহউদ্দিন আহমদ বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছেন।
ট্রাভেল পাস মূলত পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করে। সাধারণত বিদেশে গিয়ে কারও পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের হাইকমিশন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস দেয়। এই পাস নিয়ে কোনো ব্যক্তি দেশে ফিরতে পারেন। ট্রাভেল পাসের মেয়াদ ৯০ দিন হয়ে থাকে। নিয়মানুযায়ী এই পাস দিয়েই তাঁর ফিরতে পারার কথা। কিন্তু যেহেতু সালাহউদ্দিন আহমদ রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং তাঁর মামলাটি ভিন্ন, সেহেতু তাঁর বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চেয়েছে মেঘালয় রাজ্য সরকার।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ট্রাভেল পাস পেয়েছিলেন। গত জুন মাসের ৭ তারিখে এই পাসটি ইস্যু করা হয়েছিল।
কবে দেশে ফিরতে পারবেন—মুঠোফোনে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন আহমদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাভেল পাস পাওয়ার পর তিনি দেশে ফেরার আগে আগে দিল্লিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে এসেছেন। কিন্তু মেঘালয় রাজ্য সরকার নয়াদিল্লি থেকে তাঁকে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো অনুমোদন পাননি। সালাহউদ্দিন আহমদ খালাস হওয়ার পর আদালতের আদেশের কপিসহ প্রত্যাবর্তনের জন্য আবেদন করেছিলেন মেঘালয় পুলিশ দপ্তরে। মেঘালয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক শাখা থেকে দিল্লির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে, কিন্তু তারা কোনো জবাব পায়নি।
সালাহউদ্দিনের স্বজনদের দাবি, ট্রাভেল পাস জাতীয় পরিচয়পত্রের মতো। দিল্লিতে চিকিৎসার সময়, হোটেলে অবস্থানের জন্য এই পাস কাজে লেগেছে। কিন্তু এটা দিয়ে সালাহউদ্দিন ভারতের ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন না। দেশে যাওয়ার জন্য তার ‘এক্সিট পাস’ প্রয়োজন।
গত ৮ মে সালাহউদ্দিন ভ্রমণ অনুমোদনের জন্য ভারতের আসাম রাজ্যের কাছে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে তিনি ভারতে আটকে আছেন। দেশটিতে তাঁর বিরুদ্ধে যে অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছিল, সেই মামলায় আদালত তাঁকে খালাস দিয়েছেন।
আবেদনে সালাহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ভারতে থাকার কারণে তিনি নিজের পাসপোর্ট নবায়নের সুযোগ পাননি। ভ্রমণ অনুমোদন দেওয়া হলে তিনি নিজের দেশে ফিরতে চান এবং দেশবাসী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে চান।
সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়েছিল। সাধারণত ভ্রমণ অনুমোদন হাইকমিশনই দিয়ে থাকে। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে, তিনি ভারতে জেল খেটেছেন এবং তিনি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সে জন্য হাইকমিশন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ট্রাভেল পাস দিয়েই দেশে ফেরা যায়। আমি জানতাম না যে এ ব্যাপারে আবার অনুমোদন লাগবে। এমনও হতে পারে তিনি ফিরতে চাচ্ছেন না, সে জন্য এমন কথা বলছেন। আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। তবে সালাহউদ্দিন আহমদ যদি আবার চান, আমরা তাঁকে ট্রাভেল পাস দেব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ভারতের পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন শিলংয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘোরাঘুরি করার সময় লোকজনের ফোন পেয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সালাহউদ্দিন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন।
সালাহউদ্দিন যখন ভারতে আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। দেশটিতে আটকাবস্থায় তিনি ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।