ছোটদের (অনূর্ধ্ব-১৬) সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর শেষ হতে চলেছে আজ। ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ এবং ভারত। বিকাল সাড়ে ৫টায় ফাইনাল শুরু হবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতে নাম তাদের ট্রফি অন্য কেউ যেন না নিতে পারে, সেই লক্ষ্যে। আর বাংলাদেশ নাম অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের প্রথম ট্রফি জয়ের মিশনে।
এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ আগেও ট্রফি জয় করেছে দুই বার। কিন্তু তখন এটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ। সেটি এখন অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ হলেও মর্যাদায় কোনো কমতি হয়নি। একই ভাবেই দেখা যায়। সেই হিসাবে ছোটদের সাফের এবার অষ্টম আসর। আগের সাত আসরের ছয়টিতেই ভারত ফাইনাল খেলেছে। ট্রফি জয় করেছে চার বার। গত দুটি আসের ভারত চ্যাম্পিয়ন। ছোটদের টুর্নামেন্ট হলেও ফাইনালে খেলার সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা ভারতের।
বাংলাদেশ এবার নিয়ে তিন বার ফাইনাল খেলছে। দুই বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০১৫ সালে সিলেটে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে টাইব্রেকিংয়ে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। গোল করে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। গোল শোধ করে ১-১ হলে, খেলা টাইব্রেকিংয়ে নিষ্পত্তি হয়। ২০১৮ সালে নেপালে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে ফাইনালে টাইব্রেকিংয়ে ৩-২ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এই ফাইনালও ১-১ ছিল। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে পেনাল্টিতে, ১-১। ছোটদের এই টুর্নামেন্টে চার বার ফাইনাল খেলা নেপাল এবার গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছে দুই ম্যাচের দুটিতে হেরে। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছে নেপাল। ভারত নেপালকে হারানোয় বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছিল। সেমিতে পাকিস্তানকে ২-১ গোলে হারিয়ে আজ ফাইনালে বাংলাদেশ। ২০১১ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত ছোটদের সাফের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। ভারতের বিপক্ষে একই টুর্নামেন্টে দুই বার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে প্রথম খেলায় ভারতের কাছে ১-০ গোলে হেরে অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ। আজ ফাইনালে আরেকবার মুখোমুখিতে কঠিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের জন্য।
ভুটান থেকে কোচ সাইফুর রহমান মনি জানিয়েছেন ভারতের এডভান্টেজ হচ্ছে ওরা বলটাকে ধরে রাখতে পারে। নিজেদের কাছে বল রাখতে পারে। তার পরও প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে আমরা ১-০ গোলে হারলেও গোলের সুযোগ আমরাই বেশি পেয়েছিলাম।’ মনি বলেন,‘আমাদের ডিফেন্ডার অমিতের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে গোল হজম করতে হয়েছিল। অমিত অতিআত্মবিশ্বাসী ছিলেন। যাই হোক সে পরের দুই ম্যাচে দারুণ খেলেছে। পুষিয়ে দিয়েছে। আক্রমণে সাঈদ আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করেছিল। সেই ভারতের রক্ষণ ভাঙতে পারেন। দেখা যাক। এখন পর্যন্ত সবকিছু ভালো আছে। শেষটা ভালো করতে পারলেই হয়।’