ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ দেশগুলোর জোটের সম্মেলনে গিয়ে ওইদিনই সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি।
গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর জি২০ সম্মেলনে ভিন্ন ভিন্ন অধিবেশনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ শীর্ষক দুটি বক্তব্য রাখেন তিনি।
সম্মেলনজুড়ে শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘ওয়ান আর্থ’ ও ‘ওয়ান ফ্যামিলি’ সেশনে জলবায়ু পরিবর্তন, করোনার পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য ও সারের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা তুলে ধরেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা তার সরকারের মেয়াদকালে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের অভিজ্ঞতা বিশ্ব নেতাদের কাছে উপস্থাপন করেন।
বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভসহ বিভিন্ন বিশ্বনেতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শীর্ষ এই সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে গৃহীত ‘লাইফস্টাইল ফর এনভায়রনমেন্ট’ আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া পৃথিবী ও মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনেও এটা উল্লেখ রয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ১ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ গৃহহারা হবেন।
সম্মেলনে বৈশ্বিক নেতৃত্বের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবী ও মানুষের সহাবস্থানের জন্য জরুরি এমন এক বৈশ্বিক আবহ, যা দারিদ্র্য দূর করার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমিত করবে। সেই সঙ্গে বিশ্বে সংঘাতের বদলে সহযোগিতার বাতাবরণ সৃষ্টি করবে।