জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ মানুষের পুষ্টিকর খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই। একই গবেষণার তথ্য মতে বাংলাদেশের থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভুটান।
সম্প্রতি জাতিসংঘের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ‘বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সম্মিলিতভাবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা (ইফাদ), ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।
শতাংশের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ, ভারতের ৭০ শতাংশ, ভুটানের ৫৩ শতাংশ, নেপালের ৮৪ শতাংশ, পাকিস্তানের ৮৩ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার ৪৯ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যকর খাদ্য কেনার সামর্থ্য নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষুধা নির্মূল, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সব ধরনের অপুষ্টি দূর করার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। কোভিড-১৯ মহামারি বৈশ্বিক কৃষি খাদ্যব্যবস্থার দুর্বলতা, ভঙ্গুরতা ও সমাজের বিরাজমান বৈষম্যকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। এ মহামারি বৈশ্বিক ক্ষুধা ও খাদ্য অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। অনেক উন্নতির পরও শিশুদের অপুষ্টি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে। মায়েদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে না পেয়ে বর্তমানে দেশে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। দেড় দশক আগে এ হার ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ।
বয়স্ক মানুষের মধ্যেও বেশি ওজনের প্রবণতা বাড়ছে। ২০১২ সালে অস্বাভাবিক ওজনের মানুষ ছিল মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়ায়।
নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতির অবনতির কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১২ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৩৬ শতাংশের মধ্যে রক্তস্বল্পতা ছিল। ক্রমে এ হার কমে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ২০১৯ সালে একই বয়সী নারীদের ৩৭ শতাংশের এ সমস্যা ছিল।