ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে এবার ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার সময় এসেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের কাছে। গত বছরের শুরুতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার ক্যারিবীয়দের মাটিতেই আবারো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার অপেক্ষায় আছে তামিম বাহিনী। এই সফরে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে টেস্ট সিরিজ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দাঁড়াতে না পারলেও ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ও দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে স্বাগতিকদের নাস্তানাবুদ করেছে টাইগাররা।
আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলতে মাঠে নামবে দুদল। গায়ানা থেকে বাংলাদেশের খেলাধুলাভিত্তিক একমাত্র টিভি চ্যানেল টি-স্পোর্টস ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।প্রথম ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটের জয় পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে আবারো টসে জিতে বোলিং নেয় তামিম ইকবাল। প্রথম ইনিংসে মিরাজ-নাসুমের ঘূর্ণিতে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ একাদশে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে এসে কাকতালীয়ভাবে টেস্ট দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। এরপর খেলেছেন টি- টোয়েন্টি সিরিজেও। কিন্তু নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারেননি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটে রেকর্ড গড়ে স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়া এই ব্যাটারকে প্রথম দুই ম্যাচে দেখা না গেলেও আজ একাদশে থাকার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্তকে হয়তো সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হবে। এই ম্যাচ জিতলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পাবে টাইগাররা। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইবার হোয়াইটওয়াশ করেছে। সর্বশেষ ১০ ম্যাচ ধরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অপরাজিত টাইগাররা। এর মধ্যে সিরিজ জিতেছে দুইটি। ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন ম্যাচের তিনটিতেই বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৯ সালে আইসিসি বিশ্বকাপেও ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।ক্যারিবীয়দের আজ হোয়াইটওয়াশ করলে টাইগারদের ইতিহাসে ১৫তম হোয়াইটওয়াশের মাইলফলক অর্জন হবে। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছয়টি দেশকে ১৪ বার হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এই দেশগুলোর মধ্যে জিম্বাবুয়েকে ৬ বার, কেনিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডকে ২ বার করে এবং পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে একবার করে হোয়াইটওয়াশ করেছে সাকিব-তামিমরা। বাংলাদেশ সর্বপ্রথম ২০০৫-০৬ সালে কেনিয়াকে ৪ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করে সব ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করে। এরপর ২০০৬ সালে আবারো কেনিয়াকেই হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। তবে এই সিরিজটি ছিল ৩ ম্যাচের। এই বছরের শেষদিকে ৫ ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সব ম্যাচে জয় পেয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ হোয়াইটওয়াশের আনন্দ পায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পরের বছর ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পায় টাইগাররা। এরপর ২০১৫ সালের মধ্যে জিম্বাবুয়েসহ নিউজিল্যান্ডকে ২ বার ও পাকিস্তানকে সিরিজের সব ম্যাচে হারিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার পর আরো ৫টি হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। যেখানে ২০২০-২১ বর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশ করেছে। বাকি চারটি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।