নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শক্র-মিত্র চিনতে হবে। একবার যারা বিশ্বাসঘাতক, তারা বারবার বিশ্বাসঘাতক।’
শনিবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন।
দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
‘১৬ জুলাইকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দী দিবস’ আখ্যায়িত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ১/১১ নামক অমবশ্যা। আজকের এই দিন ১৬ জুলাই শুধু শেখ হাসিনার কারাবান্দী দিবস নয়। এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দী দিবস। এই দিন শেখ হাসিনাকে বন্দী করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দী করা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গেয়েছেন। ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।’
তিনি বলেন, ‘১/১১ জেলে ছিলাম। রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন। আমাদের নেত্রী বন্দী হয়েছিলেন। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। প্রথম বন্দী হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধীদলকে প্রথম বন্দী করে। সরকারি দলের নেতা তখনও বাইরে। কী দুর্বব্যবহার! এত অপমান নেত্রীকে করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সামান্য শ্রদ্ধা তারা দেখাতে পারেনি, দেখায়নি। সেটাই হচ্ছে বড় কথা।’
সেতুমন্ত্রীর অভিযোগ, ২০০৭ সালে যদি একটি রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সহযোগিতা না করত, তাহলে সামরিক শাসন স্থায়ী হতো না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শক্র-মিত্র চিনতে হবে। একবার যারা বিশ্বাসঘাতক, তারা বারবার বিশ্বাসঘাতক।’
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘সরকার পতনের সাইরেন বেজে উঠছে’ বলে যে মন্তব্য করেছেন তার সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিদায় সাইরেন বেজে উঠেনি, বরং বিএনপিরই বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠেছে।
ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পথ বাদ দিয়ে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।