দেশের বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত এবং বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও এ পর্যন্ত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৫১৫ জন।
শনিবার দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বন্যাজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও এ সময়ে নতুন করে ৫৫৭ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, দেশের ১৪ জেলায় এখন পর্যন্ত ১২১ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগেই ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ২০, সুনামগঞ্জে ২৯, মৌলভীবাজারে ১১ ও হবিগঞ্জে ৭ জন মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৬, নেত্রকোণায় ১৯, জামালপুরে ৯ ও শেরপুরে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৫ ও লালমনিরহাটে ৭ জন মারা গেছেন। এ ছাড়াও ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলে বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ১৭ মে থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৮৯ জন।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৯৩০ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও বলছে, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৯৪ জনের।
চর্ম রোগে দুই হাজার ১৯৯, চোখের প্রদাহজনিত রোগে ৩৪১ ও নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ৪৯৯ জন।
এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৭ জন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন।