শেষ দিকে এসে রোমাঞ্চের মাত্রা চেয়ে গেছে কলম্বোর চারপাশে। ‘শ্রীলঙ্কা, শ্রীলঙ্কা, শ্রীলঙ্কা’ স্লোগানে ভরে উঠে প্রেমাদাসার গ্যালারি। ঠিক তখনই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং শিবিরে শাহীন শাহ আফ্রিদির জোড়া আঘাত। স্তব্দ হয়ে যায় পুরো গ্যালারি; দুহাত মুষ্টিবদ্ধ করে প্রার্থনায় মগ্ন হয়ে বসেন গ্যালারি ভরা লঙ্কান সমর্থকরা। ৬ বলে ৮ রানের চ্যালেঞ্জ। প্রথম ৪ বলে মাত্র ২ রান দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দারুণভাবে পাকিস্তানের দিকে নিয়ে আসেন জামান খান। তখনো উইকেটে ৪১ রানে অপরাজিত চারিথ আশালাঙ্কা। শেষ দুই বলে দারুণ দুটি বাউন্ডারিতে শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে তুললেন তিনি। স্তব্দ গ্যালারিতে ফিরল প্রাণের সঞ্চার। এ নিয়ে ১১বার এশিয়া কাপের ফাইনালে লঙ্কানরা। আগামী রোববার ভারতের বিপক্ষে শিরোপার জন্য লড়বে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
অথচ আয়োজক পাকিস্তানের জন্য কি দারুণ সুযোগই না ছিল এবার। গত বছর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের টুর্নামেন্টের ফাইনালে লঙ্কানদের কাছে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাবর আজমের দলের। এবার সেই ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার সুযোগ পেয়েও হলো না; উল্টো ক্ষত আরও বাড়িয়েই দিল লঙ্কানরা। সহযোগী আয়োজক হয়ে মূল আয়োজকদেরই ছিটকে দিলেন তারা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটি ২ উইকেটে জিতে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের স্মৃতি আরও উজ্জ্বল করে তুললেন তারা।
কলম্বোতে গতকাল সুপার ফোরের ম্যাচের শুরুতেই বৃষ্টির কারনে টস পিছিয়ে যায়। বৃষ্টি শেষ হলে খেলা ৪৫ ওভারের নির্ধারন করা হয়। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। ২৭.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩০ রান তোলার পর আবার বৃষ্টি নামে। এরপর ম্যাচ দাঁড়ায় ৪২ ওভারে। ৭ উইকেটে পাকিস্তান করে ২৫২ রান। ডাক ওয়াথ লুইস পদ্ধতিতে লঙ্কানদের লক্ষ্যও হয় ২৫২।
সেমিফাইনালে দাঁড়ানো ম্যাচটির আগেই পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। ভারতের কাছে ২২৮ রানের হারই তার কারণ। চার দলের মধ্যে সব থেকে খারাপ রান রেট বাবরদের। লঙ্কানদের রান রেট -০.২০০ এবং পাকিস্তানের রান রেট -১.৮৯২। বৃষ্টিতে ম্যাচ না হলেও বাদ পড়তে হতো বাবরদের। যদিও শেষের রোমাঞ্চই টুর্নামেন্টের প্রাণ হয়ে থাকল।