টানা দুই জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতেই তামিম জানিয়েছিলেন, এবার বেঞ্চ পরীক্ষা করতে চান তিনি। কিন্তু শেষ ওয়ানডেতে এক পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। পূর্ণশক্তির দল নিয়েই ক্যারিবীয়দের ক্লিন সুইপ করেন তামিমের দল।
সিরিজটি আইসিসির সুপার লিগের অংশ নয়। রেটিং বেড়েছে মাত্র ১। তাই কাগজে কলমে খুব একটা গুরুত্ব ছিল না। বাংলাদেশ চাইলে নিয়মরক্ষার এই ম্যাচে বেঞ্চ পরীক্ষা করতে পারতো। তামিমেরও ইচ্ছা ছিল, তবে টিম ম্যানেজমেন্টের পরামর্শে সেটা আর বাস্তবায়ন হয়নি।ম্যাচ শেষে ঘুরে ফিরে আসে তামিমের কথা না রাখার কারণ। তখন তামিম জানালেন, টিম ম্যানেজম্যান্ট সায় না দেওয়াতেই পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামতে হয়। তামিম বলেন, ‘আমি অবশ্যই এটা করতে চেয়েছিলাম। তবে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যখন কথা বলেছি, তখন তারা মনে করেছে যে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নামা উচিত। আমরা সেটাই করেছি।’
অধিনায়ক বলেন, ‘এই ম্যাচে একটাই পরিবর্তন করার কথা ছিল, কারণ আমরা জানতাম যে একই উইকেটে খেলব। তখন একজন পেস বোলারকে কমিয়ে তাইজুলকে খেলানোর সিদ্ধান্ত হয়। আমি যে কথাটি বলেছিলাম, তা অবশ্যই আমার ইচ্ছা ছিল। তবে যেটা ম্যানেজমেন্ট বলেছে, তাতেও আমি কনভিন্সড।
এবার না পারলেও ভবিষ্যতে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার আভাস দিলেন তামিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে যেতে হলে বেঞ্চের শক্তি দেখতেই হবে। না হলে কীভাবে বুঝতাম তাইজুলের এই গুণ আছে, বা মোসাদ্দেকের বোলিংয়ের এই সামর্থ্য আছে। কোনো না কোনো সময় দেখতেই হবে। হয়তো একসঙ্গে পাঁচজনকে করবেন না, এক-দুই জন করে করতে হবে। ওয়ানডেতে বিশ্বের বড় দলগুলো কিন্তু এভাবেই করে, সিরিজ জিতলে খেলোয়াড় বদলায়। আমাদের আরেকটু সাহস দেখিয়ে করতে হবে। আবার আমরা এর আগে করিওনি। ফলে একটা দ্বিধা থেকে যায় সবসময়। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে আপনারা দেখতে পাবেন।