নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনা-বেচা করায় ১০ ব্যাংককে শাস্তির আওতায় আনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকগুলোকে এই বিষয়ক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, বেশকিছু ব্যাংকের বিরুদ্ধে বেশি দামে ডলার কেনা-বেচার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। ফলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এই তালিকায় দেশি-বিদেশি ও রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংক রয়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে ১৩টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ডলার দর নিয়ে কারসাজির অভিযোগ পেয়ে অধিকতর তদন্ত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ১৩টি ব্যাংকের মধ্যে ১০টির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত জুলাই মাসে অধিকতর তদন্ত শুরু করার সময়ে মেজবাউল হক বলেছিলেন, আমরা অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা ভেঙেছে কিনা। তদন্তে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন বিস্তারিত বলা যাবে।
ডলারের দর বেশি রাখা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরপরই তা রোধ করতে শক্ত অবস্থানে গিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গভর্নরের কড়া নির্দেশ পেয়েই কর্মকর্তারা তদন্তে নামছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা।
একই অভিযোগে গত বছরের আগস্টে অতিরিক্ত দরে ডলার কেনা-বেচায় দেশি বিদেশি ছয় ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসরাণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নাম ছিল।