আল হিলালের হয়ে এটা ছিল তার দ্বিতীয় ম্যাচ। শুরুর একাদশে প্রথম বার মাঠে নামা। নেইমার সৌদি এসে নিজের এই দ্বিতীয় ম্যাচেই সংবাদ শিরোনাম হলেন ভুল কারণে। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে এবং সজোরে তার গায়ে বল শট মেরে পেলেন ‘প্রথম’ হলুদকার্ড। তার চেয়েও বড় কথা, অখেলোয়াড়ি সূলভ আচরণের জন্য ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন ব্রাজিল তারকা।
পরশু রাতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে উজবেকিস্তানের ক্লাব নাভবাহোর নামানগানের বিপক্ষে এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন নেইমার। অযথা হলুদ কার্ডের প্রাপ্তির পাশাপাশি নেইমার গোলের সুযোগও মিস করেছেন একাধিকবার। তারপরও তার দল আল হিলাল ১-১ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে ডিফেন্ডার আলি আল বুলাইহির যোগ করা সময়ের গোলে।
নেইমার চোট সঙ্গে নিয়েই পাড়ি জমান বলে সৌদি ক্লাবটিতে। ফলে আল হিলালের হয়ে মাঠে নামাই হচ্ছিল না তার। অবশেষে ১৬ সেপ্টেম্বর সৌদি প্রো লিগে অভিষেক হয় নেইমারের। আল রিয়াদের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচটিতে বদলি হিসেবে নেমে নিজে গোল না পেলেও দলের দুটি গোলে অবদান রেখেছিলেন। তার অভিষেকে আল হিলালও ৬-১ গোলে জিতেছিল।
সেই স্মৃতি নিয়েই পরশু এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন নেইমাররা। চোট শঙ্কার কারণে নেইমার ম্যাচটি খেলতে পারবেন না বলেই শোনা গিয়েছিল। তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে নাভবাহোর বিপক্ষে ঠিকই তাকে শুরুর একাদশে নামান আল হিলালের পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুস। আল হিলাল সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন নেইমারের পায়ের জাদু দেখার। কিন্তু রিয়াদের কিং ফাহদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে নেইমার পায়ের কারিশমা তো দেখাতে পারেন-ইনি; উল্টো দলকে একাধিকবার সুযোগ মিসের হতাশায় পুড়িয়েছেন। এই হতাশার মধ্যেই ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারী নাভবাহোর।
উজবেকিস্তানের ক্লাবটিকে এগিয়ে দেন তমা তাবাতাদজে। এর ঠিক পরই ওই অনাকাঙ্খিত কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন নেইমার। মাঝমাঠের কাছাকাছি ফ্রি পায় আল হিলাল। নেইমার নিজেই ফ্রি কিক নিতে যান। কিন্তু প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডার এসে দ্রুত শট নেওয়ার পথে বাঁধা দেন। মুহূর্তেই মেজাজ হারিয়ে নেইমার হাত দিয়ে সজোরে ধাক্কা মেরে ওই খেলোয়াড়কে মাটিতে ফেলে দেন। এতেই ক্ষান্ত হননি। দ্রুতই বল বসিয়ে ঐ খেলোয়াড়ের গায়ে সজোরে শট মারেন। রেফারি দৌড়ে এসে হলুদ কার্ড দেখান। অনেকেরই অভিমত, নেইমার ভাগ্যবান যে, হলুদ কার্ডেই রক্ষা পেয়েছেন। অপরাধের মাত্রা বিচারে এটা লালকার্ড হতে পারত! সেটা অন্যদের অভিমত। নেইমার কিন্তু হলুদ কার্ডের প্রতিক্রিয়ায় রেফারির ওপর প্রচণ্ড গরম দেখিয়েছেন! রেফারির দিকে তেড়ে যান। তারই এক সতীর্থ নিবৃত্ত করে তাকে।