জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কুমিল্লার এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।কারাগারে যাওয়া নিশাত আহম্মেদ খান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
রবিবার ভোরে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশের সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার পুলিশ কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।পরে তাকে রূপগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছের রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।এ মামলার বাদী ইংল্যান্ডপ্রবাসী মিনহাজুর রহমান।তিনি কুমিল্লা নগরীর রাজাপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়,ঢাকার ধানমণ্ডি,কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে ইংল্যান্ডপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিনহাজুর রহমানের বাড়ি ও জায়গা-জমি রয়েছে।তার স্থাবর-অস্থাবর কিছু সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় তা রক্ষার জন্য তিনি কুমিল্লা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নিশাতকে দায়িত্ব দেন।নিশাত প্রবাসী মিনহাজের সরলতার সুযোগ নিয়ে কয়েকজন মিলে পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য জাল দলিল সৃষ্টি করেন।এ ঘটনায় মিনহাজুর রহমান বাদী হয়ে নিশাত আহম্মেদ খানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে গত ৭ জুলাই রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
বাদী মিনহাজুর রহমান বলেন,নিশাত একজন প্রতারক।২০১৭ সালে নিশাত নিজের পাসপোর্টে আমার স্ত্রী বলে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারণা শুরু করে।এরপর আমাকে নানাভাবে হুমকি দেয়।এ ঘটনার পর নিশাত কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটের আমার পাঁচতলা বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর করে একটি ফ্ল্যাট দখল করে নেয়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন,জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় রবিবার ভোরে মামলার প্রধান আসামি নিশাত আহম্মেদ খানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নিশাত আহম্মেদ খান সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলন করে জানান,ইংল্যান্ডপ্রবাসী মিনহাজুর রহমান তাকে বিয়ে করে এখন স্ত্রীর স্বীকৃতি দিচ্ছেন না।এ ছাড়া তার আট বছর বয়সী সন্তানের পিতা প্রবাসী মিনহাজুর রহমান বলে দাবি করেন তিনি।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী মিনহাজুর রহমান।