ব্যাচেলর পয়েন্ট ধারাবাহিকের একটি চরিত্রের নাম ইভা।এই চরিত্রে অভিনয় করছেন পারসা ইভানা।আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র কাবিলা।এই ভূমিকায় অভিনয় করছেন জিয়াউল হক পলাশ।তবে গত দুই ঈদে ইভানা ও পলাশ যথাক্রমে ফারিয়া ও সামি নাম ধারণ করে ব্যাডবাজ ও গুডবাজ নামের দুই নাটকে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন।ব্যাডবাজ নাটকটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ইউটিউবে জনপ্রিয়তার তালিকায় এক নম্বরে অবস্থান করছে।
আলোচিত দুই চরিত্রের একজন পারসা ইভানা কথা বলেছেন মাহতাব হোসেনের সঙ্গে
সামি ও ফারিয়া কিংবা কাবিলা ও ইভা এই জুটিকে বাস্তবেও দেখতে চায় দর্শকরা।অন্তত নাটকগুলোর মন্তব্য বাক্সে এমন অজস্র মন্তব্য দেখা যায়,এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
আমিও অজস্র এমন মন্তব্য দেখেছি। সামি ও ফারিয়াকে বাস্তবেও তারা সঙ্গে দেখতে চায় কিংবা কাবিলা ও ইভা বাস্তবে বিয়ে করুক এমন মন্তব্য দেখেছি।আমি মজা পেয়েছি।হয়তো দর্শকরা নিজেদের কল্পনার জগৎ বা চিন্তা থেকে এমনটা দেখছেন।আমার উচিত হবে তাদের কল্পনা ভেঙে না দেওয়া।তার মানে হচ্ছে,এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।আমি দর্শকদের স্বপ্ন ভঙ্গ করতে চাই না।
ব্যাচেলর’স কোরবানি নাকি গুডবাজ- কোনটা সেরা?
আসলে দুটোতেই সাড়া পাচ্ছি ভালো।সবচেয়ে বড় কথা,শুধু অভিনয় করে এত সাড়া পাব আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। ব্যাচেলর পয়েন্ট আমাকে যা দিয়েছে তা আমি বোঝাতে পারব না।এত এত রেসপন্স,এত এত মানুষের ভালোবাসা, প্রতিক্রিয়া।এবারে তুলনামূলক গুডবাজের প্রতিক্রিয়াটা বেশি পাচ্ছি।
দৃশ্যের শেষভাগে কান্না করেছেন,দর্শকদেরও আবেগে ভাসিয়েছেন- আপনার পরিবারের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
আমার মা যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন।সেখানে বসে খুব গভীর মনোযোগে আমার অভিনয় দেখেন।তিনি ব্যাচেলর পয়েন্টের প্রতিটি পর্ব দেখেন।আমার অভিনয় দেখে মা আমাকে অ্যাপ্রেশিয়েট করেন।এটা আমার জন্য একটা বড় পাওয়া। আমার পরিবারের সদস্যরা,আত্মীয়-স্বজন সবাই আমার অভিনয় দেখেন;আমার কাজের অনুপ্রেরণা জোগান।
গুডবাজ নাটকে প্যারাসেইলিং করলেন,পলাশ তো বলছিল আপনি পড়ে যাবেন।ভয় পাননি?
আমার আগে দুইবার প্যারাসেইলিং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।সত্যি বলতে কি,নাটকে দেখানো হয়েছে আমি সবার পরে প্যারাসেইলিং করেছি।কিন্তু আমারটাই আগে ছিল।
আকাশে ওড়ার সময় প্রচণ্ড বাতাস ছিল। ওয়েদার কুল ছিল,বৃষ্টিও হচ্ছিল।আমার সত্যি সত্যি ভয় হচ্ছিল,মনে হচ্ছিল পড়ে যাব।আমার হাতে ছিল গো প্রো ক্যামেরা।ভয় পেয়েছিলাম।অথচ নাটকে আমাকে দেখে কেউ মনে করতে পারেনি যে ভয় পেয়েছিলাম।
গুডবাজের শেষ দৃশ্যটি নিয়ে কিছু বলা দরকার আপনার
আসলে ওটা খুব ইমোশনাল একটা দৃশ্য ছিল।কেননা ব্যাডবাজ নাটকে ফারিয়া সব সময় সামির পজিটিভ বিষয়, নেগেটিভগুলোই যেন চোখে পজিটিভ হয়ে আসত।আর গুডবাজে একেবারে আলাদা দৃশ্য।ব্রেকাপ। শুধু ঝগড়াই হতো তো তৃতীয় একজনের মাধ্যমে।আবেগীয় ওই দৃশ্যটা ধারণ করার কথা ছিল রাতে।সেদিন প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল। দৃশ্য ধারণ করতে করতে ভোর হয়ে গেল।হয়তো শেষরাত আলো-আঁধারের বিষয় ছিল,এটার কারণে দর্শকের কাছে হয়তো ম্যাজিক্যাল লেগেছে।
ব্যাচেলর টিমে সবচেয়ে বেশি কাকে এগিয়ে রাখবেন। বা যদি বলা হয় কে সেরা?
আমি আসলে কাউকে সেরা বা বেশি মার্কস দেব না।কারণ ইনডিভিজুয়ালি বিষয়টি আমরা এখানে চিন্তা করি না। আমরা সব সময় একটা টিম,আমাদের কাজটা টিমওয়ার্ক।এখানে কেউ পারসোনালি নিজেকে হাইলাইটস করে না। যার ফলে আমরা সুন্দর একটি পরিবেশনা দিতে পারি আর দর্শক সেটা গ্রহণ করছে।
শরাফ আহমেদ জীবন অনেক জ্যেষ্ঠ হয়েও আপনাদের সমবয়সী চরিত্রে অভিনয় করেছেন,কোনো সমস্যা হয়েছে কখনো?
না,মোটেও না।জীবন ভাইয়ের ডিরেকশনে আমার কাজ করা হয়নি,তবে তার কাজ আমি দেখেছি।তিনি নির্মাতা হিসেবে অসাধারণ।অভিনয়েও তিনি আমাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে তাল মিলিয়ে ফেলতে পারবেন এটা একদম অন্য রকম দক্ষতা।জীবন ভাইয়ের এই দক্ষতা দারুণ।মনে হয় না তিনি আমাদের বয়সী নন।
কাজল আরেফিন অমি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
অমি ভাই তো একজন ম্যাজিক্যাল ডিরেক্টর।তার ডেডিকেশন,তার ইউনিক চিন্তাভাবনার ফলে আমরা ব্যাচেলর পয়েন্টের মতো একটি ধারাবাহিক এত জনপ্রিয়।অমি ভাই সম্পর্কে আমি খুব বেশি বিশ্লেষণ করতে পারব না,তিনি ম্যাজিক্যাল।
আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
পড়াশোনা থেমে আছে। মহামারির কারণে সব থেমে ছিল।এখন আবার শুরু করতে হবে।দেশের বাইরে অ্যাডমিশন নেব।তারপর টানা পড়াশোনা করে শেষ করতে হবে।
দেশের বাইরে চলে গেলে ব্যাচেলর পয়েন্টের ইভার কী হবে?
একেবারে চলে যাব না।আমার আম্মু যেহেতু দেশের বাইরে থাকেন,সেহেতু যেতে হবে।তবে আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকব। খুব শিগগির অভিনয় ছাড়ছি না।