চীনের শহর হ্যাংঝুতে আজ ১৯তম এশিয়ান গেমসের উদ্বোধন হওয়ার আগেই গেমস শুরু হয়ে গেছে। এশিয়ান গেমসের চিরায়িত নিয়ম এটি। যেসব খেলা শেষ হতে সময় লাগে। হ্যাংজু অলিম্পিক স্পোর্টস সেন্টারে আজ সন্ধ্যা ৬টায় জমকালো আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।
গেমেরস প্রথা অনুযায়ী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগেই কিছু খেলা শুরু হয়ে যায়। এর মধ্যে ফুটবল এবং ক্রিকেট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যেসব দলীয় ডিসিপ্লিন রয়েছে সেগুলো শুরু হয়ে যায়। চীনের পূর্বাঞ্চলে হ্যাংজু শহরটি এখন আর অন্য কোনো পরিচয়ে চেনা যায় না। পুরো শহরই এখন খেলার শহরে পরিণত। যেদিকে চোখ যায় খেলার মানুষের ভিড়। বাস, ট্যাক্সি, কিংবা যে কোনো বাহনে উঠলেই গেমসের আমেজ চোখে পড়ে। সাধারণ মানুষের আলোচনা এখন গেমসের দিকে। এশিয়া জুড়ে আলোচনায় উঠে আসছে গেমসের নানা প্রান্তের খোঁজখবর।
গেমসের শহর নানা রংয়ে ফুলে ফুলে সেজেছে। কেমন প্রস্তুতি হয়েছে তা দেখার জন্য এরই মধ্যে চূড়ান্ত ড্রেস রিহার্সাল হয়ে গেছে। সাড়ে ১২ হাজার অ্যাথলেটস, ৪৫ দেশ, ৪৮১ ইভেন্টেস। পোডিয়াম অপেক্ষা করছে সেরা ক্রীড়াবিদদের জন্য। সবার স্বপ্ন পোডিয়ামে দেশের জাতীয় সংগীত বেজে উঠবে। ৫৪টা কমপিটিশন ভেন্যু নির্মাণ করেছে চীন। যেসব ভেন্যুতে খেলা হবে সবগুলোতে খেলাধুলার আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এশিয়ার ক্রীড়াবিদরা এসে দেখে যাবে চীন খেলাধুলায় কতোটা এগিয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চীনের এগিয়ে যাওয়া এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে। চীনকে অবহেলার চোখে দেখার সুযোগ নেই। গেমস উপলক্ষ্যে দর্শকের জন্য বাসের ৮৬টা নতুন রুট চালু করা হয়েছে। খেলা চলাকালীন ৫০টা পাতাল রেল চলবে। প্রত্যেকটা রেল চলবে কম্পিউটার সিস্টেমে। চালক থাকবে না। চীনের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন এই গেমসকে সফল করার জন্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন। ভিন দেশি কাউকে দেখলেই চীনা নাগরিক এগিয়ে আসছেন সাহায্য করার জন্য। এসব স্বেচ্ছাসেবককে উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।
গেমস ভিলেজ নামে গড়ে তোলা আবাসন, যেখানে ক্রীড়াবিদ কোচ কর্মকর্তারা অবস্থান করবে। উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গেমস ভিলেজে হাজারো রকমের খাবার রাখা হয়েছে। যার যেটা পছন্দ, পাতে তুলে নিচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজার হাজার ক্রীড়াবিদদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য গেমস ভিলেজের ভেতরে নানা আয়োজন করছে চীন। এবার নিয়ে তৃতীয় বার এশিয়ান গেমসের আয়োজক চীন।
এশিয়ান গেমসে এবার বাংলাদেশ থেকে ক্রীড়াবিদ, কোচ, কর্মকর্তা মিলে ২৫০ জন অংশগ্রহণ করছে। এর বাইরে পর্যবেক্ষক নামে রয়েছে আরো অনেকে। ১৭টি ডিসিপ্লিনে খেলবে বাংলাদেশ। পদক জয়ের সম্ভাবনা খুব কম। বাংলাদেশ থেকে ক্রীড়াবিদরা চীনে যাওয়ার আগে জানিয়ে গেছেন তারা ভালো খেলতে চান। এর মধ্যেও যাদের নিয়ে সম্ভাবনা সেই তালিকায় রয়েছে আরচারি, শুটিংসহ বেশ কিছু মাইন্ড গেম।