প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে ১৮৫ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। খোলা সয়াবিন তেলের দামও লিটারপ্রতি ১৪ টাকা কমিয়ে ১৬৬ টাকা করা হয়েছে। রবিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় বাজারে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরই আলোকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে এই মূল্য তালিকা কার্যকর হবে।
তপন কান্তি ঘোষ জানান, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ টাকা এবং পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাম তেলের দামও ছয় টাকা কমানো হয়েছে। বর্তমানে পাম তেলের নির্ধারিত দাম ১৫৪ টাকা। সেটির নতুন দাম ১৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দরপতন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতেও এর সুফল ভোক্তারা পাবে বলেও জানান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সব শেষ গত ২৬ জুন তেলের দাম লিটারে ছয় টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা করা হয়েছিল। তবে সরকার দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরেই আগের দাম লিটার ২০৫ টাকা দরে কিনতে বাধ্য হয় ক্রেতারা।
এদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের বিশ্ব বাজারদর পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২১ সালে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ২৮০ ডলারের মধ্যে এবং প্রতি টন অপরিশোধিত পাম ৯৮০ থেকে এক হাজার ৯৫০ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করে। ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত জ্যামিতিক হারে মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পাম তেল টনপ্রতি মূল্য দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০২২ মাসের মে মাসের পর আন্তর্জাতিক বাজারে এ দুটি পণ্যের মূল্য কমতে থাকে। বর্তমানে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন এক হাজার ৩০০ ডলার এবং পাম এক হাজার ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
সরকারের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রেড কমিশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, স্থানীয় বাজারে গত এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে (খোলা) ৪৭%, (বোতল) পাঁচ লিটার ৪১%, (বোতল) এক লিটার ৩৩%, পাম তেল (লুজ) ৩৯% এবং পাম অয়েল সুপার ৪১%। গত এক মাসে যথাক্রমে ৮.৫%, ২.১২%, ৪%, ১৫% ও ১১% দাম কমেছে।