দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা খাতে ব্যয়ের জন্য ৩০০ মিলিয়ন (৩০ কোটি ডলার) মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। কোভিড মহামারির ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, শিখনফলের মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার হার কমিয়ে আনতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশের সরকার।
বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ডে আমেরিকায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য এ অর্থের অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কার্যালয়ের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেছেন, ‘নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষায় লিঙ্গসমতা আনার ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু কোভিডকালে দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েশিশুদের বিরাট অংশ স্কুল ছেড়েই দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সব সময় পাশে থাকবে।’
মাধ্যমিক শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রকল্পের আওতায় ষষ্ঠ এবং অষ্টম শ্রেণির (গ্রেড) শিক্ষার্থীদের গণিত, ইংরেজি এবং বাংলার মতো মূল বিষয়গুলোর ঘাটতি পূরণের ফোকাস থাকবে। কারণ এ বিষয়গুলো ভবিষ্যতের শিক্ষার ভিত্তি। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হলো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষতা বর্তমানে থাকা ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা এবং বাংলায় ৬৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা। ঝরেপড়ার হার কমাতে এ প্রকল্পের আওতায় ৮০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি ও প্রতিরোধ কমিটির কাজেও সহায়তা করা হবে এ প্রকল্প থেকে। পড়ার দক্ষতা উন্নয়নের প্রোগ্রামের জন্য ৭ হাজার ২০০ স্কুলে অনুষ্ঠান থাকবে এ প্রকল্পের আওতায়। আর শেখানোর দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ১৫ হাজার শিক্ষককে।