ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, রাজ্য সাইবার ফরেনসিক গবেষণাগার খোলার প্রয়োজন রয়েছে। সাইবার অপরাধের পাশাপাশি অন্য যেকোনো ধরনের অপরাধের রহস্য অনুসন্ধানে সাহায্য করবে এই গবেষণাগার।
উত্তর প্রদেশে সাইবার অপরাধের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, অন্য রাজ্যে সাইবার অপরাধমূলক কাজকর্ম চালানো হচ্ছে ওই রাজ্যে বসে।
উদ্বিগ্ন যোগি আদিত্যনাথের প্রশাসন এই ফরেনসিক গবেষণাগার স্থাপনের পাশাপাশি থানাগুলোকে সাইবার থানা তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। যে থানাগুলোতে বিভিন্ন সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেওয়া এবং তদন্ত করে দেখা হবে।
বর্তমান দুনিয়ায় কোনো অপরাধের রহস্য সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ফরেনসিক গবেষণাগার। সাইবার ফরেনসিক গবেষণাগার শুধু সাইবার অপরাধ নয়, অন্য অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত মোবাইল, সিসিটিভ ফুটেজ খতিয়ে দেখে তথ্য বের করে আনতেও সাহায্য করবে।
চলতি বছরের মে মাসে হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় ফরেনসিক গবেষণাগারের ক্যাম্পাসে একটি কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সাইবার গবেষণাগারের উদ্বোধন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অনলাইনে প্রতারণা এবং বিভিন্ন সাইবার অপরাধের তদন্তে সাহায্য করে এই গবেষণাগার। এছাড়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটার বা মোবাইলের দখল নেওয়া অপরাধীকে চিহ্নিত করতে সাহায্য করে। নষ্ট করে দেওয়া তথ্য উদ্ধার করে অপরাধের রহস্য সমাধানে সাহায্য করে।
খুন বা ধর্ষণের পর অধিকাংশ সময় অপরাধী প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল থেকে তথ্য মুছে দেওয়া, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো মেসেজিং অ্যাপে বার্তার আদান-প্রদান মুছে দিতে পারে অপরাধী।
এসব ক্ষেত্রে সেই মুছে দেওয়া তথ্য উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে সাইবার ফরেনসিক গবেষণাগার। ঝাপসা হয়ে যাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অপরাধীকে চিহ্নিতকরণের জন্য পুলিশ সাইবার ফরেনসিক গবেষণাগারের সাহায্য নিয়ে থাকে।
অপরাধ করার সময় অপরাধী যদি এমন কিছু ব্যবহার করে, যেগুলো সাইবার সম্পর্কিত, সে ক্ষেত্রে দ্বারস্থ হতে হয় ফরেনসিক ল্যাবের। এছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ডিজিটাল মুদ্রার দুনিয়ায় অপরাধ এবং প্রতারণার রহস্য ফাঁসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় এই ল্যাব।
ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটারের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া অপরাধীর হদিস দিতে পারে সাইবার ফরেনসিক গবেষণাগার।
উত্তর প্রদেশ ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে। দিল্লিতে ইতোমধ্যেই একটি সাইবার ফরেনসিক গবেষণাগার রয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য ভাবছে এ ধরনের গবেষণাগার তৈরির কথা।