সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে সম্প্রতি প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিযোগ প্রমাণ হলে ইমরান খান ও কোরেশিকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হতে পারে।
পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সাইফার মামলার বিচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ আদালত গঠিত হয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন এফআইএ কর্মকর্তারা।
ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও এই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে কয়েকজনকে পলাতক হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র।
চার্জশিটে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের, ১৯২৩ (দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন, ১৯২৩) ৫ ও ৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে এফআইএ’র কর্মকর্তারা। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামির মৃত্যুদণ্ড বা ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এই চার্জশিটকে অস্বীকার করেছে ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে।
এদিকে তদন্ত সংস্থা এই মামলায় সব মিলিয়ে মোট ২৭ জনকে সাক্ষী করেছে। তাদের প্রায় সবাই এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দেবেন। এরই মধ্যে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামলার প্রধান সাক্ষী আজম খান।
আজম খান বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করেন, ইমরান খান সে সময় পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে গোপন নথিটি নিয়ে এসেছিলেন ও বলেছিলেন যে জনসাধারণের সামনে ওই গোপন নথিটি প্রকাশ করে দেবেন তিনি।
তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি ইমরান খানকে নথিটি দিয়েছিলেন ও এটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করার পরেও ইমরান খান এটি ফেরত দেননি।