যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার নিজেদের আনা আস্থা ভোটে টিকে গেছে।এদিকে কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্যদের (এমপি) তৃতীয় রাউন্ডের ভোটেও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নির্বাচন এড়াতে সোমবার আনা আস্থা ভোটে মন্ত্রীদের পক্ষেই রায় দেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা। বিরোধী দল লেবার পার্টি অবিলম্বে অন্তর্বর্তী নেতা নিয়োগের মাধ্যমে বরিসকে এখনি সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বরিস যেহেতু ইতিমধ্যেই সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সেহেতু তার আর প্রয়োযন নাই মনে করে সরকার।সেপ্টেম্বরের শুরুতেই তার উত্তরসূরি নির্বাচন করতে যাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি। এবার ৪৯-২৩৮ ভোটে টিকে যায় সরকার।
বরিসকে দ্রুত সরাতে সরকার ও বরিস উভয়ের বিরুদ্ধেই অনাস্থা ভোট আনতে চেয়েছিল লেবার পার্টি। তবে বরিস ইতিমধ্যেই সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা শুধু সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আরও এগিয়ে গেছেন ঋষি সুনাক।সোমবার তৃতীয় রাউন্ডের ভোটাভুটিতে ব্যবধান আরও বাড়িয়েছেন তিনি।এ দফায় সুনাক ১১৫ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি ১০১ ভোট পেয়েছিলেন।
সুনাকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জুনিয়র বাণিজ্যমন্ত্রী ও নৌবাহিনীর রিজার্ভিস্ট মরড্যান্ট পেনি মরড্যান্ট ৮৩ দ্বিতীয় ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনসনের অনুগতদের পছন্দের প্রার্থী ট্রাস ৭১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।
সাবেক মন্ত্রী কেমি ব্যাডেনক ৫৮ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন।এ রাউন্ডে সবচেয়ে কম ৩১ ভোট পাওয়ায় পার্লামেন্টের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারপারসন টম টুগেনহাট ছিটকে পড়েছেন।
টিকে থাকা চারজনের মধ্যে চতুর্থ রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। যদি সব প্রার্থীই ৩০ ভোটের বাধা উতরে যান, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী সবচেয়ে কম ভোট পাওয়া প্রার্থী বাদ পড়বেন। ২১ জুলাই প্রার্থী দুজনে নেমে আসবে।