রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার প্রবল স্রোতে ভারতের সিকিম প্রদেশের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পাঁচটি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা। এদিকে কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলেও খবর এসেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাঁধটি ভেঙে ৭-৮টি বাড়ি তলিয়ে গেছে। এছাড়া, হুমকির মুখে আরও ১০-১৫টি বাড়ি।
সব হারিয়ে একজন স্থানীয় বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘বাড়ি চলে গেছে, কোথায় থাকবো, কী করবো বুঝতেছি না। আমার সব শেষ।’
উত্তরাঞ্চলীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ব্যারেজের ৪৪টি জল কপাট খুলে দিয়ে চাপ সামলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর মধ্যরাতের মধ্যেই তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত ওঠে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয়েছে। এরই মধ্যে বাঁধটি মেরামতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
এদিকে বুধবার রাত ১০টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এর আগে বিকেল চারটায় তিস্তার পানি এই পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে তা বেড়ে ১০ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত সাতটা ও আটটায় পানি বেড়ে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও রাত নয়টায় পানি কমে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।