কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ১৫ মাস বয়সী এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা, তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নে বাড়ড়িয়া গ্রামের মধ্যম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন বিকেলে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।
আটককৃত ওই নারীর নাম রোকসানা বেগম (৩২)।তিনি ওই গ্রামের আমান উল্লাহর মেয়ে। নিহত শিশুটির নাম আরাফাত হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রোকসানা বেগম তার ১৫ মাস বয়সী সন্তান আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশের অশ্বদিয়া গ্রামে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি একা ফিরে এলে বাড়ির লোকজন তাকে ছেলে কোথায় জিজ্ঞেস করেলে তিনি বলেন ছেলেকে পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়েছেন। এরপর আশপাশের লোকজন বাড়ড়িয়া গ্রামের কয়েকটি পুকুরে খোঁজ করে পাশের মিয়াজীবাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে পায়।সাথে সাথে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, রোকসানা আক্তার একজন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী বলে আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। তিনি এর আগেও আরো চারবার শিশুটিকে পানিতে ফেলে দিয়েছিলেন। তখন স্থানীয় লোকজন দেখে উদ্ধার করায় শিশুটি রক্ষা পেয়েছিলো কিন্তু এবার আর তাকে রক্ষা করা যায়নি। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।