হামাস-ইসরায়েলের শনিবারের সংঘর্ষে গাজা উপত্যকার হাসপাতালে অন্তত ১৬০ জন নিহত এবং আরও ১ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি মিডিয়া।
এই সংখ্যার মধ্যে সম্ভবত যারা বিমান হামলায় এবং দক্ষিণ ইসরায়েলে সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল তারা অন্তর্ভুক্ত বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এর মধ্যে ৪০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
হামলার পর এক ভিডিও বার্তায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শনিবার ভোরে হামাসের আকস্মিক হামলার পর দেশ ‘যুদ্ধের মধ্যে’ রয়েছে। ইসরায়েলের নাগরিকরা, আমরা যুদ্ধে আছি। কোনো অপারেশনে নয়, রাউন্ডে নয়, যুদ্ধে।’
হামাস দাবি করেছে, তারা গাজা থেকে ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুই হাজার ২০০ রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার পর এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেছেন, হামাসেরে যোদ্ধারা প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে।
আইডিএফ-এর কাছে হামলার বিষয়ে আগাম সতর্কতা ছিল কিনা সে সম্পর্কে সাংবাদিকদের বারবার প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করেন হেচট।
ইসরায়েলের ওপর কয়েক বছরের মধ্যে এটি হামাসের সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা। অন্যদিকে গাজাতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। ফিলিস্তিন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বাহিনীর হামলায় একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। ইসরায়েল বলছে, গাজায় হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে যুদ্ধ বিমান দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।