দুজনেই পেস বোলার। গতি, বাউন্স, সুইংয়ের ফনা তুলে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করাই তাদের কাজ। তো এবারের বিশ্বকাপে নিজ নিজ দলের হয়ে প্রথম ম্যাচে নিজেদের সেই কাজটা ভালো মতোই করেছেন দুজনে। উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২৮২ রানে বেঁধে রাখতে নিউজিল্যান্ডের পেসার ম্যাট হেনরি নিয়েছেন ৩ উইকেট। বড় ভূমিকা রেখেছেন দলের জয়ে। বাস ডি লিড নিজ দল নেদারল্যান্ডসকে জেতাতে পারেননি; তবে বল হাতে নিজের কাজটা দারুণভাবেই করেছিলেন। শক্তিশালী পাকিস্তানকে ২৮৬ রানে বেঁধে রাখতে তিনি নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
এই হিসেবে আজ বাস ডি লিডই এগিয়ে। তবে অন্য সব পরিসংখ্যানের দিক থেকেই এগিয়ে ম্যাট হেনরি। তার বয়স ৩১ বছর। এ নিয়ে তিনটি বিশ্ব্বকাপে খেলছেন। মানে এর আগেই দুটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ম্যাট হেনরি। খেলেছে দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালেও। সব মিলে বিশ্বকাপে ১২টি ম্যাচ খেলেছেন, নিয়েছেন ১৯ উইকেট। বিপরীতে বাস ডি লিডের বয়স মাত্র ২৩। ৬ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল বিশ্বকাপে তার প্রথম ম্যাচ। তাতে ৪ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের শুরুটা স্বপ্নের মতোই হয়েছে তার। আক্ষেপ অসাধারণ বোলিং নৈপূণ্যের পরও বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচটাতে তাকে পরাজয়ের স্বাদ পেতে হয়েছে। আজ নিশ্চয় সেই আক্ষেপটাও দূর করতে চাইবেন ডাচ পেসার। তবে অন্য একটা পরিসংখ্যান হয়তো তাকে সেই আশার ছবি আঁঁকতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আজ যাদের মুখোমুখি হচ্ছেন, সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে এখনো উইকেটের দেখা পাননি বাস ডি লিড।
৩১ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন বাস ডি লিড। সেই তিন ম্যাচের দুই ইনিংসে বল করে উইকেটশূন্য। বিপরীতে ম্যাট হেনরি ৭৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলেছেন দুটি ম্যাচ। সেই দুই ম্যাচেই নিয়েছেন ৫ উইকেট। ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল হ্যামিল্টনে তার এক ম্যাচে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা ডাচদের ২১৩ রানে গুঁড়িয়ে দিতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। অন্য ম্যাচে একটি। তবে অতীত পেছনে ফেলে দুজনের দৃষ্টিই আজকের ম্যাচের দিকে।