বহু প্রতীক্ষার পর পৃথিবীটা আবার ধীরে ধীরে আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে। মহামারির প্রকোপে যেসব দেশে ভ্রমণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে সেসব দেশে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণের গন্তব্যগুলোতেও এখন প্রয়োজন পড়ে না কভিড টেস্ট। শুধু টিকা সনদ সঙ্গে রাখাটাই যথেষ্ট।তবে দীর্ঘ দুই বছর পর ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পাদন করাটাও নতুনভাবে শেখার প্রয়োজন পড়েছে। তাই আজ আমরা নিয়ে এসেছি বিদেশ ভ্রমণের খুঁটিনাটি টিপস, যাতে আপনার ভ্রমণটি হয় একদম মনমতো এবং ঝামেলামুক্ত।
যেকোনো দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথমতই প্রয়োজন ছয় মাস পর্যন্ত বৈধতা আছে এমন পাসপোর্টের। যেহেতু বিগত দুই বছর সম্পূর্ণভাবে ভ্রমণ থেকে বিচ্ছিন্ন কেটেছে, তাই আগে থেকে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার পাসপোর্টের বৈধতা আছে কি না। না থাকলে নতুন নিয়মে বানিয়ে নিতে হবে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট। পাসপোর্ট নিশ্চিত করার পর একেক দেশের থাকে একেক রকমের ভিসা-প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি। নেপাল অথবা মালদ্বীপে ভিসা পাওয়ার ব্যাপারটা বেশ ঝামেলামুক্ত। কারণ এ দুটি দেশে পৌঁছানোর পরও ভিসা মেলে। খরচের দিক থেকে এ ক্ষেত্রে নেপাল একটু সাশ্রয়ী। সময় স্বল্পতা না থাকলে সড়কপথেই প্রবেশ করা যায় হিমালয়ের রাজ্য নেপালে। তবে এই সফরটায় সময় চলে যায় এক দিন কিংবা তারও বেশি। কিছুটা সময় বাঁচাতে এবং আরামে ভ্রমণ করতে বিমানে যাওয়াটাই শ্রেয়। কাছাকাছি রাষ্ট্র হওয়ায় বিমানে ভ্রমণের খরচটা খুব একটা বেশি না। মালদ্বীপে খরচ একটু বেশি হলেও ঘুরে আসাটা এখন একদমই অসম্ভব নয়। কারণ প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেক সুবিধাজনক সেবার উদ্ভাবন হয়েছে, যা খরচপাতি সামলানোর ব্যাপারে বেশ সাহায্য করে। এমন একটি সেবাই হলো ০% ইএমআই সেবা। ভ্রমণের জন্য ০% ইএমআই সেবা পেয়ে যেতে পারবেন গোযায়ান-এ। এই সেবাটি ব্যবহার করে ভ্রমণসংক্রান্ত যেকোনো খরচ কিস্তিতে পরিশোধ করা সম্ভব হবে, ফলে এককালীন খরচের চাপটা একেবারেই কমে যায়। শুধু তাই নয়, গোযায়ানই বাংলাদেশের একমাত্র অনলাইন ভ্রমণের প্ল্যাটফর্ম, যারা ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ০% ইএমআই সুবিধাটি দিচ্ছে। ফলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন আর কোনো বাধা নেই।
ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক ইত্যাদি দেশে প্রবেশের পর ভিসা না দিলেও, বাংলাদেশ থেকেই যাওয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলা যায়। ফ্লাইটের ব্যবস্থা হয়ে গেলেও বাকি থেকে যায় থাকার ব্যবস্থা এবং অ্যাক্টিভিটির পরিকল্পনা। দেশের মাঝে ঘুরতে গেলে অনেকেই মনে করেন গন্তব্যে পৌঁছানোর পর হোটেল বুক করাটা বেশি কার্যকর। তবে বিদেশের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষত বিশ্বব্যাপী পর্যটনের সাম্প্রতিক বৃদ্ধির ফলে হোটেলের প্রাপ্যতাও বেশ কমে গিয়েছে। তাই কোনো রকম অনিশ্চয়তা না রেখে দেশে থাকতেই হোটেল বুকিং করে যাওয়াটা সেরা হয়। বিদেশি হোটেল বুকিং করার জন্য পূর্বে বিদেশি ওয়েবসাইটই শুধু ব্যবহার করা যেত- যেখানে টাকা পরিশোধ করা যায় শুধু বিশেষ ক্রেডিট কার্ড অথবা বিদেশি কার্ড দিয়ে। আগে থেকে টাকা পরিশোধ না করলে বিদেশ যাওয়ার সময় নিতে হবে বাড়তি ডলার অথবা স্থানীয় মুদ্রা। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির কারণে টাকা থেকে ডলারে রূপান্তর করাটাও বেশ লোকসানজনক। বাংলাদেশে বসেই যদি টাকাতে পেমেন্ট করে বিদেশের হোটেল বুকিং করা যেত, তবে বেশ হতো।গোযায়ান এখন সেই সুযোগটিই এনে দিয়েছে তাদের প্ল্যাটফর্মে। বিদেশি হোটেলের সবচেয়ে বড় সংগ্রহ এখন আছে তাদের ওয়েবসাইটে। শুধু তাই নয়, বিদেশি ওয়েবসাইটের থেকেও কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে এই হোটেলগুলো। দেশি মুদ্রায় বিদেশি হোটেল বুকিং দেওয়াটা লাভজনক হওয়ার পাশাপাশি বেশ গর্বেরও। তা ছাড়া তাদের ০% ইএমআই সুবিধাটি তো আছেই, বাড়তি সুবিধা হিসেবে। হোটেল এবং অ্যাক্টিভিটিগুলো আলাদাভাবে বাছাই না করতে চাইলে তাদের ওয়েবসাইটে আছে সম্পূর্ণভাবে নিজের মতো করে গুছিয়ে নেওয়ার সুবিধাসহ ট্যুরও। নিজের চাহিদাগুলো অনলাইনে তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন খরচাপাতির হিসাবসহ আপনার স্বপ্নের ট্যুরটি।
স্বপ্ন হোক অনেক দূরের দেশ ঘুরে আসার বা কাছের, রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার কিংবা শান্তিপূর্ণ সফরের- ভ্রমণের সময় এখনই। তাই দেরি না করে এখনই পরিকল্পনা করে ফেলুন আপনার স্বপ্নের ভ্রমণের।