সৃজিত মুখার্জির তৃতীয় হিন্দি ছবি ‘সাবাশ মিঠু’ মুক্তি পেয়েছে ১৫ জুলাই। সাবেক ভারতীয় নারী ক্রিকেটার মিতালি রাজের জীবন নিয়ে ছবিটি বানিয়েছেন সৃজিত। নাম ভূমিকায় তাপসী পান্নু। বাংলায় সফল ‘রাজকাহিনী’র হিন্দি রিমেক ‘বেগম জান’ দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নামি পরিচালক সৃজিত।
ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে। গত মাসে মুক্তি পেয়েছিল সৃজিতের আরেক ছবি ‘শেরদিল—দ্য পিলিভিট সাগা’। পঙ্কজ ত্রিপাঠী ও সায়নী গুপ্তা অভিনীত ছবিটি বক্স অফিস থেকে আয় করেছিল মাত্র এক কোটি রুপি। ১০ কোটি রুপি বাজেটের ছবির আয় এক কোটি হলে একে ডুবে যাওয়াই বলে। ‘সাবাশ মিঠু’ও ব্যতিক্রম নয়, সৃজিত নিজে ডুবলেন, ডোবালেন তাপসী পান্নুকেও। বক্স অফিসে প্রথম দিন থেকেই একপ্রকার ধুঁকছে ছবিটি। প্রথম দিনের আয় মাত্র ৪০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় দিনের আয় মিলিয়েও এক কোটি ছুঁতে পারেনি ছবিটি। তৃতীয় দিনেও হতাশাজনক চিত্রটা বিশেষ বদলায়নি।
শুধু বক্স অফিসের ব্যর্থতাই নয়, সমালোচকদেরও ছবিটিকে বিশেষ ‘সাবাশি’ দিতে দেখা যাচ্ছে না। যদিও ছবি মুক্তির আগে মিতালি রূপে তাপসী পান্নুকে দেখে নড়েচড়ে বসেছিল দর্শক। তাপসী তখন জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজেকে কত কঠোরভাবে তৈরি করেছিলেন। জুনে ক্রিকেট দুনিয়া থেকে অবসর নিয়েছিলেন ভারতীয় নারী ক্রিকেটদলের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ। পরের মাসেই তাঁর জন্মদিনে (১৫ জুলাই) মুক্তি পেল নিজের বায়োপিক। দর্শক খরায় তাপসীর মতো হতাশ মিতালিও। তবে তাপসীর ওপর থেকে আস্থা হারাতে নারাজ আরেক অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। তাঁর বিশ্বাস, এই ছবি তাঁর প্রাপ্য প্রশংসা পাবেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি মনে করি না একটি ছবির বক্স অফিস কালেকশনই তার মেরিট বিচার করতে পারে। এখন যে ছবিগুলো কাল্ট বলা হয়, সেগুলোও একসময় বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছিল, অনেক সময় বাজে ছবিও হিট হয়ে যায়। ’
‘সাবাশ মিঠু’র পরিণতি দেখে আরো দুটি বায়োপিকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলিউড। ঝুলন গোস্বামীর বায়োপিক ‘চাকদা এক্সপ্রেস’-এ অভিনয় করছেন আনুশকা শর্মা, নাম প্রকাশ না করা আরেক নারী ক্রিকেটারের বায়োপিক করছেন জাহ্নবী কাপুর।