আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ঋণের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের বিদেশি ঋণের প্রয়োজন নেই। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে। যখন প্রয়োজন হবে সবাইকে জানানো হবে। ‘
আজ বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি অর্থনৈতিক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আইএমএফেরর একটা কনসালটেটিভ কমিটি বাংলাদেশে আছে। তারা সরকারকে পরামর্শ দেয়, সরকারও তাদের পরামর্শ দেয়। তারা আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাবনা দেয়নি। আমরাও তাদের কোনো ফরমাল প্রস্তাবনা দিইনি। এই পর্যন্ত হচ্ছে আইএমএফ সংক্রান্ত জবাব। ‘
আইএমএফফ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রস্তাব করেছে বলে যে খবর এসেছে সে বিষয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা আইএমএফের কাছে কোনো প্রকার অর্থ নেওয়ার জন্য আবেদন করিনি। তারাও প্রস্তাব দেয়নি। তাদের পরামর্শগুলো সরকারের জন্য উপকারী হয়। তারা সংস্কারপন্থী কিছু প্রস্তাব দেয়। তাদের পরামর্শগুলো দেশের জন্য ভালো হয়। তাদের প্রস্তাব পেলে আমরা গ্রহণ করি। ‘
এশিয়ার কিছু দেশকে শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা থেকে সতর্ক হওয়ার তাগিদ দিয়েছে আইএমএফ। এই তালিকায় বাংলাদেশ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে নেপাল, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশ আছে। এই তালিকায় বাংলাদেশে আছে কি না তা আমার জানা নেই। ‘
তিনি আরো বলেন, ‘রিজার্ভের বিষয়টি হলো বিভিন্ন দেশ যেভাবে করে, যেভাবে হিসাব করা হয়, আমরা সেভাবেই হিসাব করেছি, আমরা সেভাবেই হিসাব করে যাবে। আইএমএফ আমাদের যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে, সেই পরিমাণ টাকা কি তারা পায়নি? তারা বলতে পারবে না, এক দিন পরে তাদের টাকা পেমেন্ট করেছি। সুতরাং তারা নিশ্চিত থাকবে যেসব ঋণ আমাদের দিচ্ছে বা দেবে সেসব বিষয় নিয়ে। আমরাও তাদের বার বার আমাদের দিক থেকে আশ্বস্ত করেছি, আমাদের ঋণ দিলে তাদের কখনো সেটা মাফ করতে হবে না। ‘ আমাদের ঋণ শোধের ক্যাপাবিলিটি ভালো বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।