ঈদ ঘিরে ঢাকার সাভারে জনপ্রিয় থিমপার্ক ফ্যান্টাসি কিংডমে দর্শনার্থীর সমাগম ঘটলেও ঘুরে দাঁড়াতে প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। করোনার প্রভাবে টালমাটাল পরিস্থিতিতে এখন যা আয়, তা দিয়ে পূর্বে বন্ধ থাকা পার্কের দীর্ঘদিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ছয়দিন পর্যন্ত বিনোদনপ্রেমীদের জন্য নানা আয়োজন করেছিল পার্ক কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যাশা ছিল সমাগম ঘটবে অন্তত ৫০ হাজার বিনোদনপ্রেমীর।
প্রত্যাশার ঘাটতি থাকলেও ঈদের পরদিন সোমবার থেকে শনিবার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত বর্ণিল আয়োজনের কমতি রাখেনি পার্ক কর্তৃপক্ষ। ডিজে, ড্যান্স শো, অ্যাক্রোবেট শো, ম্যাজিক শো, ওয়াটার কিংডমে কৃত্রিম ঢেউসহ সব আয়োজনই ছিল।
বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর মহাসড়কের সাভারের জামগড়ায় বর্তমানে প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে কনকর্ড গ্রুপের থিমপার্ক ফ্যান্টাসি কিংডম কমপ্লেক্স। সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে দর্শনার্থীদের জন্য। রয়েছে তিন তারকা মানের থাকার জন্য রিসোর্ট আটলান্টিস নামের একটি রিসোর্ট। এছাড়া রয়েছে কয়েকটি পিকনিক স্পট। বর্তমানে এই পার্কে অন্তত ২০ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললে, তারা জানান, করোনার প্রভাব কাটিয়ে পার্কগুলো আবার চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। মাঝখানে দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকা সত্ত্বেও লাইনগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা লেগেছে । তাই কাজ না থাকলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন দেওয়া লেগেছে। সমস্যা কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে করোনার সংক্রমণের প্রভাবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছরে পার্ক বন্ধ থাকায় যে পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতার বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে ফ্যান্টাসি কিংডমের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড পিআর মীর মাহফুজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে আরো সময় লাগবে। প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। পাশাপাশি পার্কে সব ধরনের নিরাপত্তাসহ বিনোদনপ্রেমীদের জন্য সাশ্রয়ী খরচে আনন্দমুখর পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা থাকে সব সময়।