গাজায় ইসরায়েলের সেনা অভিযান চললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এবং অন্যান্য দেশও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল-তাহনির সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথা বলেছেন তিনি।
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ইরাক, লেবানন ও সিরিয়ার আঞ্চলিক সফর শেষে কাতারে পৌঁছেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল-থানির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিওতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাতারে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহের সঙ্গে দেখা করতে দেখা গেছে।
কাতারের সরকারী বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, শেখ জাসেম আল থানি সাক্ষাতের সময়, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দিকে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও বন্দীদের মুক্তি এবং এই অঞ্চলে সহিংসতা ও সংঘাতের চক্রের সম্প্রসারণের বিপদের ওপরেও জোর দিয়েছেন। এটি প্রসারিত হলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
দুই দেশের শীর্ষ নেতা ও প্রধান কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনার বিশদ বিবরণ সম্পর্কে ইরান ও কাতারের সরকারি গণমাধ্যম আর কোনো তথ্য দেয়নি। এর আগে লেবাননে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান হুমকি দিয়েছিলেন যে ইরানের প্রক্সি বাহিনী সংঘাতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করেছে এবং গাজার পরিস্থিতি কি নিয়ে আলোচনা করেছে, যেখানে ইসরায়েল স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করলে এবং ইহুদি রাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করলেও, কাতারের আমির জোর দিয়েছিলেন যে ফিলিস্তিনের অধিকার আদায় ছাড়া এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা থাকবে না।
ওমানের সুলতানের সঙ্গে কথা বলার পর শনিবারই কাতারের আমিরের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেছেন প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি। তিনি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলের ভয়াবহ বোমাবর্ষণকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফোনালাপে গাজায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে তেহরান-দোহা সহযোগিতার ওপর জোর দেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আলে সানি। তিনি বলেন, পশ্চিমা গণমাধ্যম ফিলিস্তিন পরিস্থিতি সম্পর্কে মিথ্যা ও উল্টো চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষের সমর্থন ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।