সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড এবারও দুর্বার গতিতে শুরু করেছে। নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই জিতে সেমিফাইনাল স্বপ্নের পথে অনেকটাই এগিয়ে কেন উইলিয়ামসনের দল। আত্মবিশ্বাসের পাত্রও টুইটুম্বুর। সেই টগবগে আত্মবিশ্বাস নিয়েই আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচটা খেলতে নামছেন কিউইরা। চেন্নাইয়ে তাদের আজকের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। যারা নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও তৃতীয় ম্যাচে পেয়েছে ঐতিহাসিক জয়। হারিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। এ অবস্থায় আজ কিউইরা চাইবে টানা চতুর্থ জয়ে সেমির স্বপ্নটা আরেকটু রঙিন করতে। আফগানদেরও চাওয়া ম্যাচটা জিতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে জায়গা করে নেওয়া। চাওয়া এক হলেও দুই দলের শক্তিমত্তার জায়গাটা এক নয়। কিউইদের প্রধান শক্তির জায়গা পেস বোলিং। আফগানিস্তানের মূল শক্তি স্পিন বোলিং। আজ চেন্নাইয়ের লড়াইটাও হবে কিউই পেস বনাম আফগান স্পিনের।
ঈশ সোধি, রাচিন রাভিন্দ্রা, মিচেল সান্তানারদের সমন্বয়ে নিউজিল্যান্ডের স্পিন আক্রমণ দুর্দান্তই। এদের মধ্যে সান্তানার তো ৩ ম্যাচেই ৮ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদেরই একজন। তার পরও পেস বোলিংই কিউইদের প্রধান শক্তি। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন, ড্যারিল মিচেলরা মাঠের ২২ গজি জমিনে ত্রাস ছড়াতে জানেন। প্রতিপক্ষকে পেস আগুনে পুড়িয়ে ছারখার করতে সিদ্ধহস্ত। আজও কিউইদের এই পেস আক্রমণই আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠবে বলেই ধারণা।
একইভাবে আফগানিস্তানের স্পিনারাও যে নিজেদের দিনে যে কোনো দলকেই কুপোকাত করতে পারেন, তার প্রমাণ তো টাটকাই। ১৫ অক্টোবর যে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান, তার মূলে তো ছিলেন তাদের দুই স্পিনারই। মুজিব-উর রহমান ও রশিদ খান মিলেই ২৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডকে ২১৫ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। অবিস্মরণীয় জয় তুলে নিতে মুজিব-রশিদ দুই জনেই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। সব মিলে এবারের বিশ্বকাপে ঐ ৩ উইকেটই মুজিবের। তবে ১০ ওভারে ৫১ রান খরচায় ১০ উইকেট নেওয়ার সুবাদে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনিই। অন্যদিকে রশিদ খান ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ইংল্যান্ড ম্যাচের মতো আজও যদি মুচিব-রশিদ জ্বলে উঠতে পারেন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই তা কিউইদের জন্য বিপদের কারণ হবে।
তাছাড়া আফগানিস্তান দলে তো শুধু রশিদ-মুজিবই স্পিনার নন। তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবিও বলটা ভালোই ঘুরাতে পারেন। ইংল্যান্ডবধের ম্যাচে তিনিও ২ উইকেট পকেটে পুরেছিলেন। সুতরাং আজ আফগান স্পিন-ত্রয়ীই হবেন নিউজিল্যান্ডের মূল মাথা ব্যথার কারণ। সঙ্গে পেস বোলিং ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন-উল-হক মুরিদরা তো আছেনই।