রকেট হামলায় বিধ্বস্ত আল আহলি হাসপাতাল থেকে গাজা উপত্যকার প্রধান হাসপাতাল আল শিফায় ছুটে যাওয়া হতাহতদের সার্জারি করার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করতে পারছেন না চিকিৎসকেরা। বুধবার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সেলিমা সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার রাতে গাজা উপত্যকার আল আহলি হাসপাতালে রকেট হামলা চালানো হয়। এতে নিহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক এবং আহত হয়েছে আরো শত শত মানুষ। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকার সীমান্ত বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। ফলে নতুন সরবরাহ না আসায় আল শিফাসহ গাজার অন্যান্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্যান্য চিকিৎস উপকরণের পাশাপাশি চেতনানাশক ওষুধের মজুতও ফুরিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আবু সেলিমা। এ কারণে সার্জারির আগে রোগীদের চেতনানাশক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি। কারা এই হামলার জন্য দায়ী, তা এখনো স্পষ্ট নয়। গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার জন্য পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা নগরীর আল আহলি আল আরাবি হাসপাতালে চালানো হামলাকে ‘নজিরবিহীন’ উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেন, মাত্রার দিক থেকে এই হামলা নজিরবিহীন। আমরা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্যসেবার ওপর ধারাবাহিক হামলা দেখছি।