চার বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনের পর আজ শনিবার দেশে ফিরছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এ জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চারিদিকে সাজ সাজ রব, দেশ জুড়ে আনন্দে ভাসছেন নেতাকর্মীরা।
দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেফতারের যে ঝুঁকি ছিল আপাতত তা নেই। সব মামলায় আগাম জামিন নিয়েছেন তিনি। তোষাখানা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে দৃশ্যত কোনো ঝামেলা ছাড়াই শনিবার তিনি দেশে ফিরছেন। এজন্য সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পৌঁছেছেন। সেখান থেকে আজ সরাসরি আসবেন পাকিস্তানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিং থাকার কারণে কয়েক ঘণ্টা দেরিতে তিনি দুবাই পৌঁছান। দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে বিশেষ প্রোটকল দেওয়া হয়। সেখানে বৃহস্পতি ও শুক্রবার এই দুদিন তিনি নির্বাচিত লোকজনের সঙ্গে বৈঠক করেন। শনিবার বিমানে প্রথমে রাজধানী ইসলামাবাদে নামার পর সেখান থেকে তিনি লাহোর যাবেন।
এ সময় নওয়াজের সঙ্গে থাকবেন প্রায় ১৫০ জন সঙ্গী। এরই মধ্যে পাকিস্তানে ফেরার জন্য টিকিট বুক করেছেন সাংবাদিক, রাজনীতিক এবং অধিকারকর্মীরা। তিন বারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী জেলখানায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর লন্ডন পৌঁছেন চিকিৎসা নিতে। তখন তার পরিবার অভিযোগ করেছিল যে, নওয়াজকে বিষ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সরকার ও তার মদতদাতারা।
পাকিস্তানের চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। এরপরই তাকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। লন্ডন পৌঁছার পর হারলে স্ট্রিট ক্লিনিক এবং লন্ডন ব্রিজ হাসপাতালে চার মাস চিকিৎসা দেওয়া হয় নওয়াজকে। তারপর থেকে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে লন্ডনে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন তিনি।