আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ের দ্বৈরথটিকে ‘দুই আহত বাঘের’ লড়াই বলাই যায়। দুই দলই যে নিজেদের আগের ম্যাচে হোঁচট খেয়েছে দুই পুঁচকের কাছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার ঝাল মিটিয়েছিল নিজেদের পরের ম্যাচে বাংলাদেশের ওপর। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর ইংলিশ আবার ধরাশায়ী হয়েছে পুঁচকে আফগানিস্তানের কাছে।
দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে পাওয়া সেই ক্ষতে ইংলিশরা সত্যিকার অর্থেই আহত। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ৫ নম্বরে। এই অবস্থায় আজ হারলে তাদের সেমিফাইনালের স্বপ্নটাই বড় ধাক্কা খাবে। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা এবার শুরুটা করেছিল ঝড়ের মতো। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০২ রানে উড়িয়ে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ম্যাচে দেখিয়েছে আরো বড় চমক। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় পরাশক্তি, পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করে জিতেছে ১৩৪ রানে।
টানা দুই দাপুটে জয়ে উড়তে থাকা সেই দলটিই পরের ম্যাচে হেরে গেছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ছোট দল হিসেবে বিবেচিত নেদারল্যান্ডসের কাছে। ধর্মশালায় ৩৮ রানের সেই হারটা নিশ্চিতভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকানদের মনোবলে আঁচড় কেটে দিয়েছে। মানসিকভাবে কিছুটা হলেও ক্ষতবিক্ষত তারা। প্রোটিয়ারা আজ নিশ্চিতভাবেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেই ক্ষত শুকাতে চাইবে। একমাত্র জয় কামনা করে মাঠে নামবে ইংলিশরাও। সুতরাং মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ আগুনে লড়াইয়ের আশা করাই যায়।
দুই দলেই ধুমধারাক্কা ব্যাটসম্যানদের মিলনমেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক, আইদান মার্করাম, রোসি ফন ডার ডুসেনরা রয়েছেন ফর্মে। ডেভিড মিলার নিজের দিনে কী করতে পারেন, সেটা তো সবারই জানা। একইভাবে ইংল্যান্ড শিবিরেও জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জশ বাটলারদের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আজ যুক্ত হচ্ছেন বেন স্টোক। চোটের কারণে প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি বেন স্টোকস। তবে চোট কাটিয়ে আজকের ম্যাচ দিয়েই মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বেন স্টোকসের ফেরাটা ইংল্যান্ড শিবিরের জন্য অবশ্যই বাড়তি প্রেরণা।
দুই দলেরই পেস বোলিং লাইন দারুণ। দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যানও অনেকটা সমতার গানই গাইছে। ওয়ানডের ওভারঅল পরিসংখ্যানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। মোট ৬৯ সাক্ষাতের মধ্যে প্রোটিয়ারা জিতেছে ৩৩ ম্যাচে, ইংল্যান্ডের জয় ৩০ ম্যাচে। একটি ম্যাচ ‘টাই’ হয়েছে। বাকি ৫টি হয়েছে পরিত্যক্ত। অন্যদিকে বিশ্বকাপ পরিসংখ্যানে আবার এগিয়ে ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ মঞ্চে এর আগে মোট ৭ বারের সাক্ষাতে ৪ বার জয়ী ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ৩ বার। আজ জয় পতাকা উড়বে কাদের?