খেলা চলাকালীন স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে নিজের দেশের সমর্থনে দর্শকরা গলা ফাটাবে চিল্লিয়ে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তেমনিই দেখা যাচ্ছে (যদিও কম)। তবে একটি দেশের জন্য স্টেডিয়ামে যেন এক অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর সেই দেশটি হলো পাকিস্তান। আসরের শুরু থেকেই দেশটির ক্রিকেট সমর্থকদের ভারতে প্রবেশ নিয়ে বেশ ঝামেলাই পোহাতে হয়েছে। এখনো অনেক সমর্থক ঝুঁলে আছে ভিসা জটিলতায়। এ পরিস্থিতিতে নতুন এক ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে গ্যালারিতে এক পাকিস্তানি সমর্থককে তার দেশের সমর্থনে স্লোগান দিতে বাধা দিয়েছেন ভারতীয় এক পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ চলাকালীন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় ইউটিউবার মমিন সাকিব। তিনি পুরো ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এবং কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ৪৫ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওতে দেখা যায়, ‘পাকিস্তানের জার্সি পরা এক দর্শক তার সামনে থাকা এক পুলিশকে বলছেন, ভারত মাতা কি জয় বলতে পারলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না কেন?’ তখন সেই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ভারত মাতা কি জয় ভালো, কিন্তু পাকিস্তান জিন্দাবাদ ভালো না।’
এরপর পাকিস্তান সমর্থক ঐ পুলিশকে জানান, তিনি পাকিস্তান থেকে এসেছেন। অস্ট্রেলিয়া আর পাকিস্তানের ম্যাচ হচ্ছে, তা হলে কেন পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না? এরপরই ঐ সমর্থক বলেন, তিনি পুরো বিষয়টা ভিডিও করতে চান এবং তিনি পুলিশকে বলেন এর আগে তিনি তাকে যা বলেছেন, তা আবার বলতে। সেই সময় ঐ পুলিশ প্রথমে কিছু বলেননি। তার পর কিছু একটা বলতে বলতে জায়গা থেকে সরে যান।
অবশ্য এ ঘটনায় ভারতীয়রাও পাকিস্তানের ঐ সমর্থকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সাকিবের পোস্টে এক ভারতীয় লিখেছেন, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে এই ধরনের আচরণে আমি হতাশ।’ আরেক জন লিখেছেন, ‘আমি একজন ভারতীয়। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক হয়নি।’ এক পাকিস্তানি নাগরিক লিখেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে এই মুহূর্তে পাকিস্তানের উচিত বিশ্বকাপ বয়কট করা। কারণ, সম্মানই সবকিছু।’ তবে এই বিষয়ে আইসিসি, বিসিসিআই বা বেঙ্গালুরু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কিছু জানায়নি।