চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাব্য দলগুলোর মধ্যে অন্যতম দল হিসেবে ভারতে পা রেখেছিল পাকিস্তান। আসরটি শুরু করেছিল সেই রূপেই। প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডস এবং দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দারুণ শুরু করার পরও তৃতীয় ম্যাচ থেকে মুখ থুবড়ে পড়েছেন বাবর আজমরা। তারা চান ঘুরে দাঁড়াতে। আর এর জন্য চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আজ মাঠে নামবেন। এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আসরে উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মাঠে নামবে এই দুই দল। এটি এই মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ।
ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মাঠ চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়াম। এই মাঠেই সব শেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে আট উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। তাতে আসরে নিজেদের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে হেরে ঘুরে দাঁড়াবার পথ হাতরাচ্ছেন বাবর আজমরা। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে ’৯২-এর চ্যাম্পিয়নরা জয় তুলে নিয়ে আসরের সেমিতে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে চাইবে তা অনেকটা অনুমেয়।
তবে তা হবে তাদের জন্য অগ্নিপরীক্ষার সমান। কারণ ভারতে রীতিমতো উড়ছেন প্রোটিয়ারা। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক, মারকুটে ব্যাটিং থামছেই না তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেতে হলে বড় ভূমিকা রাখতে হবে পাকিস্তানের বোলারদের। আটকে রাখতে হবে কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, হেইনরিখ ক্লাসেন, মিলারদের মতো মারকুটে ব্যাটারদের।
তবে যদিও এক দিনের এই ফরম্যাটে দুই দলের মুখোমুখি ইতিহাস দেখা হয়। তবে পাকিস্তান থেকে ধারে-ভারে অনেক এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও বিশ্বকাপে মুখোমুখিতে দুই দলের বেশি একটা পিছিয়ে নেই পাকিস্তান। ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৮২ বার যার মধ্যে পাকিস্তানের জয় মাত্র ৩০টি। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৫১টি ও একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
এর মধ্যে ওয়ানডে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে ৩ জয় প্রোটিয়াদের আর বাকি দুটি জয় পাকিস্তানের। যেবার পাকিস্তান বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই আসরেও ২০ রানে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে হেরেছিল। তবে এর মধ্যে বাবর আজমদের জন্য আশা জোগাবে এই টুর্নামেন্টের সবশেষ মুখোমুখির ফলাফল। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিশ্বকাপ মঞ্চে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এছাড়া ২০২১ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ ওয়ানডেতে দেখা হয়েছিল দুই দলের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলেন পাকরা।
এদিকে চেন্নাইয়ের উইকেট খানিকটা স্লো। এইবারের আসরে এই মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া বিগত ম্যাচগুলোর দিকে নজর দিলে দেখা যায়। এখন পর্যন্ত এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে চারটি ম্যাচ তার মধ্যে সর্বনিম্ন সংগ্রহ ১৯৯ (অস্ট্রেলিয়ার) এবং ২৮৬ (আফগানিস্তান) রান। এখনো কোনো দলই ছুঁতে পারেনি ৩০০ রান। এই মাঠের উইকেটটি স্পিন বোলারদের জন্য আদর্শ। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। ইনিংসের শুরু থেকেই এখানে টার্ন আশা করা যেতে পারে। যেমনটা দেখা গিয়েছিল সবশেষ অনুষ্ঠিত হওয়া আফগানিস্তান-পাকিস্তান ম্যাচে।