বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) মিথ্যা তথ্য দিলে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক,আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাকে জরিমানা করা হবে।এ ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।ভুল তথ্য কিংবা তথ্য গোপন করলেও এ হারে জরিমানা গুনতে হবে।গতকাল বৃহস্পতিবার এ – সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিআইবিতে রিপোর্ট করা বিষয়ে ইতোমধ্যে জারি করা বিভিন্ন সার্কুলারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে,ব্যাংক খাতের ঋণ শৃঙ্খলা সুসংহত করতে সবসময় সিআইবি তথ্যভান্ডারের সঠিকতা বজায় রাখা ও হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ আবশ্যক।ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে সিআইবি অনলাইন পদ্ধতিতে তথ্য না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আগের সার্কুলারে বলা আছে।তথ্যভান্ডারের উচ্চমান নিশ্চিত করতে এখন জরিমানার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করা হলো।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে,সিআইবিতে মাসিক বকেয়া ঋণ তথ্যের কোনো অংশ ভুল বা মিথ্যা দিলে বা তথ্য গোপনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্নিষ্ট ব্যাংক,আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা ক্ষেত্রমতে তথ্য প্রদানকারী বা দায়ী কর্মকর্তাকে জরিমানা করা হবে।
জরিমানা আদায়ের পদ্ধতি কী হবে তাও বলা হয়েছে এই নির্দেশনায়।এতে বলা হয়েছে,প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ে তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে বিলম্ব দিনের সংখ্যা,ভুল বা মিথ্যা তথ্যের প্রকৃতি ও মাত্রা অনুযায়ী জরিমানা আরোপ করা হবে।তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের বিষয়টি উদ্ঘাটিত হলেও জরিমানার মুখে পড়তে হবে সংশ্নিষ্টদের।এ ক্ষেত্রে জরিমানার কারণ এবং টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে ব্যাংক,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা দায়ী কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হবে।প্রথমে জরিমানার টাকা কেন আদায় করা হবে না তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান কিংবা কর্মকর্তার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে জরিমানা আদায় করা হবে।সাত দিনের মধ্যে ব্যাংক ড্রাফট বা পে – অর্ডারের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে রক্ষিত সংশ্নিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে কেটে নেওয়া হবে।কোনো কর্মকর্তার জরিমানা হলে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান ওই কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ আদায় করবে এবং আদায়ের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরোকে জানাবে।