চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়ে নারী সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি পোশাক কারখানার নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সুপারভাইজার ইয়াকুব আলীকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে এক নিকটাত্মীয় শিশুকে (১১) ধর্ষণের ঘটনায় মনির হোসেন (৬০) নামের এক রিকশাচালককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। বৃহস্পতিবার রাতে নারী নিরাপত্তাকর্মীর মামলায় গতকাল শুক্রবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াকুবকে। অন্য ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মাসদাইর এলাকার লোকজন মনিরকে পুলিশে সোপর্দ করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, একই পোশাক কারখানায় কাজের সুবাদে ভুক্তভোগী নারী নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁদের সুপারভাইজার ইয়াকুবের। তিন মাস আগে দায়িত্বরত অবস্থায় ওই নারীকে কৌশলে কারখানার পঞ্চম তলায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ইয়াকুব। বিষয়টি কাউকে জানালে চাকরিচ্যুত করারও হুমকি দেন তিনি। এর পর থেকে প্রায়ই ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন ইয়াকুব। সর্বশেষ ১৭ জুন দুপুরে আরেক দফায় ধর্ষণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের মামলা হলে অভিযুক্ত ইয়াকুবকে শুক্রবার ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মাসদাইরে খালি বাসায় ধর্ষণের শিকার হয় ১১ বছর বয়সী শিশুটি। অভিযুক্ত মনির তার নিকটাত্মীয়। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তাঁরা বিয়ে করে অন্য জায়গায় থাকেন। যে কারণে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে বসবাস করে সে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মামা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।