শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর অবৈধ বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে অবিলম্বে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়ার জন্য দেশটির নতুন প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের শপথ নেয়ার এক দিন পর শুক্রবার ভোরে কয়েক শ’ সশস্ত্র সৈন্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের বাইরে একটি বিক্ষোভ শিবিরে হামলা চালায়।এ সময় তারা বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করেন।
সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণে নতুন সরকার আইনের শাসনের পরিবর্তে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করতে চায়,লঙ্কান জনগণের কাছে এমন বিপজ্জনক বার্তা যাবে বলে জানায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
অভিযানে দুই সাংবাদিক ও দুই আইনজীবীর ওপরও সৈন্যরা হামলা করে।নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারী ও আইনজীবীসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটির দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেছেন,শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচিত উঁচু স্বরে ও স্পষ্ট বার্তা পাঠানো যে তারা এমন প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারে না যেটি জনগণের অধিকার পদদলিত করে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের পর ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগের দাবিতে শ্রীলঙ্কানরা কয়েক মাস ধরে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন। এ সঙ্কটের কারণে ২২ মিলিয়ন মানুষের এই দ্বীপ দেশে ওষুধ,খাদ্য ও জ্বালানির মতো প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বিক্ষোভের মুখে গত সপ্তাহে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন।তার পরিবার গত দুই দশকের অধিকাংশ সময় শ্রীলঙ্কা শাসন করেছে।তবে অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে জনরোষের কারণে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যকে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে।