ফরিদপুরে অবরোধের সমর্থনে বিএনপির মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
বুধবার (১ নভেম্বর) ফরিদপুর-ঢাকা মহাসড়কের বাহিরদিয়া ব্রিজ এলাকায় বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির পক্ষ থেকে হামলার সঙ্গে সরকার দলীয় কর্মীরা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আহতরা গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিএনপির দেশব্যাপী অবরোধের সমর্থনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কোমরপুরে বাহিরদিয়া ব্রিজের নিকট মিছিল বের করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শুরুর পরপরই ধুলদীর দিক হতে ৩০ থেকে ৪০টি মোটরসাইকেলে করে একদল যুবক ও ফরিদপুরের দিক হতে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক হামলা চালায়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় শর্টগানের গুলিতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন।
এ ছাড়া জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিল, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শামীম খান কায়েস ও অনিক খান জিতু, প্রচার সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম স্মরণ, জাহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন আহত হন ওই সময়।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌছে তাদের দুটি মোটর সাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় বলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান।
এছাড়া ডিবি পুলিশের একটি দল শহরের পূর্ব খাবাসপুরে জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেনের বাসবভনে তল্লাশি চালায় বলেও জানান তারা।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল বলেন, কোমরপুরের বাহিরদিয়া ব্রিজের নিকট কোনো পিকেটিং বা গুলি বর্ষণের ঘটনার খবর আমার জানা নেই। সেখানে বিএনপির কোনো অবরোধ কর্মসূচি হয়েছে কিনা তাও শুনিনি এখনো।