মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে শান প্রদেশের চিনশয়েহাউ শহরের আরও তিনটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। শহরটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলে কয়েক দিন ধরে সশস্ত্র তিনটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাত চলছিল জান্তা সেনাদের।
বুধবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জাও মিন তুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
জোটের মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) বলেছে, বৃহস্পতিবার ভোর হওয়ার আগে তাদের বাহিনী কোকাং স্ব-প্রশাসনিক এলাকার প্রধান টন শান ক্যাম্পসহ দুটি জান্তা ঘাঁটি দখল, কমপক্ষে ছয় সেনা হত্যা এবং আরও অনেককে আটক করেছে। অন্য জান্তা ফাঁড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
এমএনডিএএর মুখপাত্র লি কিয়ারওয়েন দ্য ইরাবতীকে বলেছেন, ‘ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি ছিল জান্তার জন্য বড় এবং অপরিহার্য। অন্যটি ছিল অস্থায়ী ফাঁড়ি। ঘাঁটি থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ নেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সকালে তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং মান্দালয় পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) উত্তর শান রাজ্যের নাউনঘকিও টাউনশিপের দুটি গ্রামের মধ্যে একটি জান্তা ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে বলে জানা গেছে।
টিএনএলএ জানিয়েছে, তারা নামখাম টাউনশিপের শোয়েলি সেতুতে একটি জান্তা পুলিশ ফাঁড়ি দখল করেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, বৃহস্পতিবার বিকেলে জান্তা ফাইটার জেট দুবার বোমা হামলা করে উত্তর শান রাজ্যের কুটকাই টাউনশিপের কার লাই গ্রামে, এক মহিলা বাসিন্দাকে হত্যা করে এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্য জুড়ে শিশুসহ কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। এর জন্য জান্তার নির্বিচারে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলা দায়ী বলে অভিযোগ।