রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ায় পর থেকেই বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকট শুরু হয়েছে।জ্বালানি তেলের এই সংকটের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও তেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।এমন সংকটের মধ্যে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে ২৫ লাখ লিটার (১৮৬২ মেট্রিক টন) অপরিশোধিত তেল দেশে এসে পৌঁছেছে।
শুক্রবার রাতে তেলের চালানটি পলাশের ঘোড়াশালে এ্যাকোয়া রিফাইনারি জেটিতে এসে পৌঁছায়।শনিবার বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধি দল আনুষ্ঠানিকভাবে পণ্য খালাস কার্ষক্রমের উদ্বোধন করেন।এ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের জেটিতে আসা ওটি সাংহাই-৮ নামের তেলবাহী ট্যাংকারটি দুই দেশের মধ্যে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আসা প্রথম তেলবাহী জাহাজ।গত ৯ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকাবাহী জাহাজটি ছেড়ে আসে।পণ্য খালাস কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ্যাকোয়া রিফাইনারি লিমিটেডের পরিচালক ইরশাদ হোসেন জানান,১৮৬২ মেট্রিক টন ন্যাপথা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পরিশোধন করে প্রায় ২৫ লাখ লিটার থেকে ৮০ ভাগ অকটেন ও ২০ ভাগ পেট্রোল বের করা হবে।এই তেল সরাসরি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের কাছে যাবে।পরে পরিশোধিত তেল চলে যাবে ভোক্তা পর্যায়ে।পুরো প্রক্রিয়া শেষে ভোক্তা পর্যায়ে তেল পৌঁছাতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।এ তেল দেশের চলমান জ্বালানি সংকট নিরসনে কার্ষকর ভূমিকা রাখবে।
বিআইডব্লিউটিএ-র পরিচালক (ট্রাফিক) রফিকুর ইসলাম জানান,তেল আমদানির প্রক্রিয়াটি ভারতের সাথে নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ।চুক্তির আওতায় ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যেই ১৬ হাজার মেট্রিক টন তেল আনার অনুমতি দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়।পর্যায়ক্রমে এই তেল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মাজহার আলম জানান,নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় তেল আমদানি করায় রপ্তানি করা অন্যান্য দেশের চেয়ে দাম কম হবে।এই চুক্তির আওতায় আরো ৩৫০০ মেট্রিক টন ন্যাপথা ১০ দিনের মধ্যে ভারত থেকে দেশে আমদানি হবে।