বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বিশ্বকাপে শেষ দুই ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। এমন অবস্থায় নিজেদের অষ্টম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ঘটনাবহুল ম্যাচে চারিথ আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের টার্গেট দিয়ে লঙ্কানরা।
সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্ব আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখেছে টাইম আউট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। মুশফিকুর রহিমের উড়ন্ত ক্যাচে কুশাল পেরেরাকে সাজঘরে ফেরান পেসার শরিফুল ইসলাম। দলীয় ৫ রানে ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন পেরেরা।
এরপর ক্রিজে আসা লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। কিছুটা আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন নিশাঙ্কা। ৬১ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।
এরপর জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলকাকে চাপে ফেলে বাংলাদেশ। ৫ বলে ৪ রান করা পেরেরাকে সাকিব আল হাসান ও ৩৬ বলে ৪১ রান করা নিশাঙ্কাকে সাজঘরে ফেরান পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
এরপর সাদিরা সামাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন। তবে দলীয় ১৩৫ রানে জোড়া উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৪২ বলে ৪১ রান করে আউট হন সামাবিক্রমা।
আর টাইম আউট হন ক্রিজে আসা আঞ্জেলো ম্যাথুস। এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার পর ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী ব্যাটারকে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথুস সেটি হতে পারেননি। আর তাই বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে টাইম আউট হন ম্যাথুস।
এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা। দুজন মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ২১৩ রানে ৩৬ বলে ৩৪ রান করে আউট হন ধানাঞ্জায়া।
এরপর ক্রিজে আসা মাহিশ থিকশানাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন আসালাঙ্কা। তবে দলীয় ২৫৮ রানে ৩১ বলে ২২ রান করে আউট হন থিকশানা। তবে একপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ১০১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আসালাঙ্কা।
এরপর দলীয় ২৭৮ রানে লঙ্কানদের জোড়া উইকেট তুলে নেন তানজিম সাকিব। ১০৫ বলে ১০৮ রান করে আউট হন আসালাঙ্কা। শেষ ব্যাটার হিসেবে চামিরা আউট হলে ৪৯ ওভার ৩ বলে ২৭৯ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।