সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান সতর্ক করে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি থেকে পাকিস্তানও বেশি দূরে নয়, যখন জনসাধারণ আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের নেতৃত্বাধীন ‘মাফিয়া’র বিরুদ্ধে ‘হাকিকি আজাদি’র জন্য রাস্তায় নেমে আসবে।
এক টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের নেতৃত্বাধীন ‘মাফিয়ারা’ তাদের অবৈধভাবে সঞ্চিত সম্পদ বাঁচাতে মাত্র তিন মাসের মধ্যে দেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে ফেলেছে। তিনি আরও বলেন, আমার প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কতদিন এটি হতে দেবে?
তিনি আরও বলেন যে, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে আমার ‘হাকিকি আজাদি’র আহ্বানে সাড়া দেবে পাকিস্তানের জনগণ। এই মাফিয়াদের লুটপাট চালিয়ে যেতে দেবে না তারা।
শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের আইনসভায় মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন পিটিআই প্রার্থী চৌধুরী পারভেজ ইলাহি। কিন্তু ডেপুটি স্পিকারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন পিএমএল(এন)-পিপিপি জোটের প্রার্থী তথা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শরিফ। শনিবার (২৩ জুলাই) তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথও নেন।
ইমরান খানের অভিযোগ, সংবিধান অনুযায়ী পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্তে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ’ গ্রহণযোগ্য নয়। এ ক্ষেত্রে আইন মানেননি ডেপুটি স্পিকার। এই পরিস্থিতিতে পিটিআই সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার নির্দেশ দিয়ে শনিবার তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে ডেপুটি স্পিকারের অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তকে আইনগতভাবে চ্যালেঞ্জ জানাবো।
এর আগে, পাঞ্জাবে প্রাদেশিক পরিষদের উপ-নির্বাচনে বড় জয় পায় ইমরান খানের দল পিটিআই। রবিবার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে ২০টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় পায় পিটিআই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটের আগে পাঞ্জাব প্রদেশের গভর্নর চৌধুরী সারওয়ারকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে চৌধুরী মুহাম্মদ সারওয়ারের কাছে উসমান বুজদার তার পদত্যাগপত্র দাখিল করেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদটি খালি হয়।
পাকিস্তানের চারটি প্রদেশ হলো বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখাওয়া, পাঞ্জাব ও সিন্ধু। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো পাঞ্জাব।