মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীনের সঙ্গে সীমান্ত অঞ্চলে সাম্প্রতিক সহিংসতার অকার্যকর ব্যবস্থাপনার কারণে দেশটি ভেঙে টুকরো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
উত্তর, উত্তর-পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পূর্বে জান্তা ঘাঁটিতে গণতন্ত্রপন্থী এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের আক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে জান্তা সরকার। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির ক্ষমতায় এসেছিল তারা।
মিয়ানমারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের (এসএসি) প্রেসিডেন্ট মিয়ন্ত সুয়ে বলেন, ‘সীমান্তের বিভিন্ন অংশে সংঘটিত সহিংসতা ঘটনা সরকার যদি কার্যকরভাবে দমন করতে না পারে, তাহলে দেশ কয়েক টুকরা হয়ে যাবে।’
মিয়ন্ত সুয়ে আরও বলেন, ‘দর পড়লে খুব সতর্কতার সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই সময়টা রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাতমাদোর (সেনাবাহিনী) এখন পুরো জাতির সমর্থন দরকার।’
ইতোমধ্যে মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য হয় এমন কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে জান্তা সরকার। এমনকি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সীমান্ত এলাকায় সহিংসতায় চীনা নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলেও চলতি সপ্তাহে নিশ্চিত করেছে চীনা সরকার।