ক্যামেরা চলছে। তার সামনেই পোশাক বদাচ্ছেন এক নারী, অবিকল কাজলের মতো দেখতে। সম্প্রতি এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়। এটা দেখা মাত্রই অনেকেরেই সন্দেহ হতে থাকে। তিনি কি আদৌ কাজল? অবশেষে প্রকাশ্যে সত্যিটা। আসলে রশ্মিকা, ক্যাটরিনার পর ডিপফেক ভিডিয়োর শিকার হলেন কাজল।
ভিডিয়োটি আসলে ব্রিটেনের এক সমাজমাধ্যম প্রভাবীর। তিনি টিকটকের জন্য ভিডিয়োটি বানান। নাম রো়জ়ি ব্রেন। ফ্যাশন সংক্রান্ত এমন নানা ভিডিয়ো বানান এই সমাজমাধ্যম প্রভাবী। এ বারও তেমনই একটি ভিডিয়ো তৈরি করেন রোজ়ি ৫ জুন। আচমকাই ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিয়ো। শেষমেশ জানা যায়, ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করেই অনৈতিকভাবে কাজলের মুখ বসানো হয়েছে।
দিন কয়েক আগে ঠিক এ ভাবেই অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানার অপত্তিকর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমের পাতায়। সেই সময় অভিনেত্রীর হয়ে গর্জে ওঠেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে বিজয় দেবেরাকোন্ডা মতো তারকার। এআইয়ের সাহায্যেই জ়ারা প্যাটেল নামক এক মহিলার ভিডিয়োয় রশ্মিকার মুখ বসানো হয়েছে। ভিডিয়োর নেপথ্যে যাঁরা আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন বিগ বি। সেই মতো পদক্ষেপ নেন দিল্লি পুলিশ। গত ১০ নভেম্বর ওই ভিডিয়োর নেপথ্যে থাকা অপরাধীদের পাকড়াও করতে উদ্যোগ নেয় দিল্লি পুলিশ। দিল্লির মহিলা কমিশনের নোটিস পাঠানোর পর দায়ের করা হয় এফআইআর। বিহারের ১৯ বছর বয়সি কিশোরই নাকি রশ্মিকার প্রথম ওই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় আপলো়ড করে শেয়ার করেন। গত ১০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় দিল্লি পুলিশের তরফে দায়ের করা হয়েছিল এফআইআর। তবে শুধু রশ্মিকা নন, ‘টাইগার ৩’ ছবিতে ক্যাটরিনা কইফের তোয়ালে জড়িয়ে মারপিটের দৃশ্যের ছবিও একই ভাবে বিকৃত করা হয়। যদিও ছবি বিকৃতি করার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই আইন প্রনয়ণের দাবি জানিয়েছেন তারকারা।